ঘুরে দাঁড়িয়ে ওয়ালটনের বাজিমাত

অর্থবছরের ৯ মাসে ৭৬২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৪৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

গাজীপুরের  চন্দ্রায় ওয়ালটনের কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা।

ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনের ধাক্কা কাটিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন দেখাল চমক।

চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ আয় করেছে ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিটি।

সোমবার কোম্পানির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের জুলাই থেকে গত মার্চ পর্যন্ত আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাইটেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা বা ২০৫ শতাংশ।

কোম্পানিটির আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে বলেও জানানো হয় এতে। 

আগের দিন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তৃতীয় প্রান্তিকের যে আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে, তাতে দেখা যায় গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরের নয় মাসে ওয়ালটনের কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৬২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ২৪৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত তিন প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ১৭ পয়সা; যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ৮ টাকা ২৫ পয়সা।

এই মুনাফার সিংহভাগই হয়েছে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে। এই প্রান্তিকেই মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৪২১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, আগের বছর এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ছিল ২৩৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

মুনাফায় উল্লম্ফনের কারণ হিসেবে ওয়ালটন জানিয়েছে, তাদের বিক্রির পরিমাণ যেমন বেড়েছে, তেমনি কমেছে খরচ।

ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকটা কমেছে।

কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭৯ শতাংশ।

ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলো। সেই ক্ষতি চলতি বছর কমে দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৬০ পয়সা।

মার্চ পর্যন্ত তিন প্রান্তিকে ওয়ালটনের মোট ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩ কোটি ৭ লাখ টাকা, যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে (পুনর্মূল্যায়নসহ) ৩৫৯ টাকা ৬৮ পয়সা। শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো বা নগদ টাকার প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৮৮ টাকা।