“আমি রাজনীতি শুরু করার ২০ বছর পরে ব্যবসা শুরু করেছি,” বলেন তিনি।
Published : 28 Jan 2024, 11:26 AM
খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সংসদে সমালোচনার মুখে পড়লেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাজারে ‘সিন্ডিকেট’ রয়েছে দাবি করে তা ভাঙতে কেন তিনি পারছেন না, সেই প্রশ্নও রাখা হয় তার কাছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) বিল পাসের প্রক্রিয়ায় বিরোধী সংসদ সদস্যরা আলোচনার জন্য দাঁড়িয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী উত্থাপিত বিলটি অবশ্য কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলের আলোচনায় গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, “দেশের মানুষ জানে, ঈদের আগে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, আদার দাম কতগুণ বেড়েছিল। দেশে আলু পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ থাকার পরেও দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। কারণ একটাই, এখানে সিন্ডিকেট।”
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, “কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ। সস্তা আমিষ যেগুলো ছিল, তার দাম অনেক বেড়ে গেছে। সিন্ডিকেটের কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়।”
একই দলের রওশন আরা মান্নান বলেন, “শুধু দ্রব্যমুল্য বাড়ছে, মানুষ হৈ চৈ করে; আমরা অস্বস্তিতে পড়ি।” জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বলেন, “গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগি, রুই মাছ সবকিছুর দাম বেড়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী কেন সিন্ডিকেট ধরতে পারছে না? তা আমরা জানি না।”
বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “এখানে জিনিসপত্রের দাম ও সিন্ডিকেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে এই সংসদে আমাকে অনেকবার বলতে হয়েছে যে, আমি ব্যবসায়ী হওয়ার অনেক আগে থেকেই রাজনীতি করি। আমি রাজনীতি শুরু করার ২০ বছর পরে ব্যবসা শুরু করেছি।”
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বৈশ্বিক কারণকে দায়ী করে তিনি বলেন, “দেশে উৎপাদিত দ্রব্য (দাম) কখন কখনও বাড়ে। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই কখনও হঠাৎ হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয়। তবে বৈশ্বিক ও দেশের সার্বিক অবস্থাটা বিবেচনা করে আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমরা এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। আমরা চেষ্টা করছি। আপনাদের পরামর্শ শুনে যতদূর সম্ভব হয় চেষ্টা করব।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)