ডিজিটাল অর্থনীতিতে আরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চীনের প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ের ‘ডিজিটাল ফাইন্যান্স সলিউশন’ ব্যবহার করবে মোবাইলে আর্থিক সেবার কোম্পানি বিকাশ।
এ বিষয়ে বুধবার দুই কোম্পানির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে বিকাশের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, ঢাকার হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং এবং বিকাশের সিইও কামাল কাদির ওই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
বর্তমানে ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে মোবাইল আর্থিক সেবা দেওয়ার কথা জানিয়ে বিকাশ বলছে, হুয়াওয়ের ‘অত্যাধুনিক ডিজিটাল ফাইন্যান্স সলিউশন’ এর মাধ্যমে তাদের সেবায় আরো গতি আসবে।
‘স্মার্ট ফিনটেক: ইনক্লুসিভ. ইনোভেটিভ. ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কামাল কাদীর বলেন, “২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিকাশ সবার জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আবির্ভাবের এই সময়ে আমরা একটি ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেম এবং স্মার্ট জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
“বিকাশ ও হুয়াওয়ের যৌথ প্রচেষ্টার লক্ষ্য হল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা।”
প্যান জুনফেং বলেন, “বাংলাদেশে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করাই হলো হুয়াওয়ে এবং বিকাশের মধ্যে এই সমঝোতার অন্যতম লক্ষ্য।
“২০১৭ সাল থেকে হুয়াওয়ে মোবাইল মানি প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) খাতকে ডিজিটালাইজ করার জন্য বিকাশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এই প্ল্যাটফর্মটি ই-ওয়ালেট ও ন্যানো-লোনের মতো পরিষেবা দিচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করছে।”
প্যান জুনফেং বলেন, “ভবিষ্যতে বাংলাদেশের আরও বেশি মানুষের ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটাল অর্থনীতির সুবিধা গ্রহণ করার জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে আমাদের এই সহযোগিতা আরও জোরদার করব।”
ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী প্রতিনিধি সরদার এম আসাদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বলেন, “এই উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ‘স্মার্ট ফিনটেক, অন্তর্ভুক্তি, উদ্ভাবনী এবং অনুপ্রেরণা’ এই ধারণা।
“আমি মনে করি, হুয়াওয়ে এবং বিকাশ উভয়েই বিষয়টি উপলব্ধি করে এর বাস্তবায়নে কাজ করছে। ভবিষ্যৎ সহযোগিতামূলক এই সমঝোতা, উদ্যোগটি বাস্তবায়নে আরও সহায়ক হবে।”