বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাতে তার দেশের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন ঢাকায় কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকোলাস।
Published : 21 Mar 2024, 11:11 PM
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে ছোট রুটের জন্য ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ বিক্রির আগ্রহ দেখিয়েছে কানাডা।
পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত, ওভারহোলিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করতে চায় উত্তর আমেরিকার দেশটির সরকারি প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাতে এসব আগ্রহের কথা তুলে ধরেন ঢাকায় কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকোলাস।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাই কমিশনার বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন খাতে বিশেষ করে বিমান বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে তার দেশ কাজ করতে চায়। জি টু জি (দুই সরকারের মধ্যে চুক্তির) ভিত্তিতে দেশটির সরকারি প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের মাধ্যমে বিমানের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত, ওভারহোলিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে আগ্রহী।
এ সময় হাই কমিশনার অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে ব্যবহারের জন্য বিমানের কাছে আরও ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ বিক্রির বিষয়েও কানাডার আগ্রহের কথা বলেন।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বিমানের বহরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুনভাবে গড়ে তুলছেন। তার আগ্রহে ইতোমধ্যে বিমানের বহরে নতুন ও অত্যাধুনিক ১৫টি উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে। সরকার বিমানের বহর সম্প্রসারণের পাশাপাশি নতুন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক রুট চালু করার বিষয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে বিমানের বহরে কানাডিয়ান কোম্পানি ডিহ্যাভিল্যান্ডের তৈরি তিনটি নতুন ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে।
উড়োজাহাজ বিক্রির বিষয়ে কানাডার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে বিমানের প্রয়োজন এবং দেশের মানুষের মঙ্গল বিবেচনায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বলেন ফারুক খান।
এর আগে ২০২৩ সালে বিমানের জন্য ফ্রান্স থেকে এয়ারবাস কেনার কথা জানানো হয়। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে উড়োজাহাজ বেচতে আগ্রহ দেখায় যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা বোয়িং।
বিমানের বহরে এখন ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ৫টি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ রয়েছে। ৭৪ আসনের এ উড়োজাহাজগুলো স্বল্পপাল্লায় অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে চালানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফারুক খান বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কারিগরি সক্ষমতা বেড়েছে। বর্তমানে দেশেই বিমানের নিজস্ব প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের মাধ্যমে উড়োজাহাজের সি-চেক পর্যন্ত সকল কারিগরি কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিমানের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত ও ওভারহোলিংয়ের বিষয়ে কানাডার প্রস্তাবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য হাই কমিশনারকে আহ্বান জানান মন্ত্রী।