বেসরকারি পাঁচ মোবাইল ফোন অপারেটরের মধ্যে তিনটিকে থ্রিজি লাইসেন্স দেয়ার কথা থাকলেও নিলামের পর এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি।
Published : 12 Aug 2013, 10:48 PM
কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরীয় একটি প্রতিষ্ঠান থ্রিজি লাইসেন্সের বিষয়ে শেষ মুহূর্তে আগ্রহ দেখালেও তারা আবেদন জমা দিতে পারেনি। ফলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত লাইসেন্সটি পরে দেশের কোনো বেসরকারি অপারেটরকে দেয়া হতে পারে। থ্রি জি নীতিমালাতেও এ সুযোগ দেয়া আছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস সোমবার নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “নিলামের পর তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) থাকলে আরও বেশি লাইসেন্স দেয়া যেতে পারে।”
বেসরকারি পাঁচ অপারেটর সোমবার তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) মোবাইল প্রযুক্তি সেবার তরঙ্গ নিলামে অংশ নেয়ার জন্য বিটিআরসি কার্যালয়ে আবেদন জমা দেয়।
সোমবারই ছিল এ আবেদনের শেষ দিন। নিলামের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান থ্রিজি নিলামের বিষয়ে আগ্রহ দেখালেও শেষ মুহূর্তে আসায় তারা আর আবেদন করতে পারেনি।
সুনীল কান্তি বোস জানান, কোরিয়ার ওই কোম্পানি বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগে এসে নিলামের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়। তারা ওই বিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুজ্জামানের কাছে সময় বৃদ্ধিরও আবেদন করে।
তবে কোরীয় প্রতিষ্ঠানটির নাম জানাননি বিটিআরসি চেয়াম্যান।
বিটিআরসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যেহেতু নিলামে কোনো বিদেশি অপারেটর অংশ নিচ্ছে না, তাই ওই অপারেটরের জন্য বরাদ্দ করা তরঙ্গ দিতে লাইসেন্সের সংখ্যা পরে বাড়ানো হতে পারে।
অতীতে লাইসেন্সের সংখ্যা নির্ধারণ করার পরও বাড়তি লাইসেন্স দেয়ার নজির রয়েছে বিটিআরসির। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়ার কথা থাকলেও ২০১১ সালে ছয়টি ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল লাইসেন্স (আইটিসি) দিয়েছিল টেলিকম খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সুনীল কান্তি বোস বলেন, “থ্রিজি নিলামের পর অব্যবহৃত তরঙ্গ থাকলে লাইসেন্স সংখ্যা বৃদ্ধি করা যেতে পারে বা সরকার ইচ্ছা করলে এক্ষেত্রে এসাইন ও করতে পারে।”
তবে নিলামের পরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান।
প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গ মূল্য ২০ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করে গত ১২ ফেব্রুয়ারি থ্রিজি লাইসেন্স নীতিমালা চূড়ান্ত করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এতে বাংলাদেশের বেসরকারি পাঁচ মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে তিনটি এবং নতুন এক অপারেটরকে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে বিদেশি কোনো অপারেটর না এলে ওই লাইসেন্স বিদ্যমান অপারেটরদের দেয়ার কথা বলা হয় নীতিমালায়।
দেশের ছয় অপারেটরের মধ্যে রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক থ্রিজি সেবা দিচ্ছে। চূড়ান্ত নীতিমালা অনুযায়ী টেলিটক নিলামে অংশ না নিলেও নিলামে যে দর উঠবে, সেই পরিমাণ টাকা দিয়ে লাইসেন্স নেবে।
টেলিটকসহ মোট ৫টি অপারেটর ১৫ বছরের জন্য থ্রিজি লাইসেন্স পাবে।