ঢাকা, ডিসেম্বর ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ব্যাংকগুলোতে হঠাৎ নগদ অর্থের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ কারণে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে স্বল্প সময়ের জন্য ধার করা টাকার সুদের হারও (কল মানি রেট) বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার কল মানি রেট সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ পর্যন্ত ওঠে।
বেসরকারি ইষ্টার্ণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার বৃহস্পতিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “আমরা বুঝতে পারছি না, এই মুহূর্তে কেন হঠাৎ করে কল মানি রেট বাড়ছে। সাধারণত এ সময় বাড়ার কথা নয়। বৃহস্পতিবার লেনদেনের শেষ দিনের কারণে ব্যাংকগুলোর নগদ টাকার চাহিদা একটু বেশি থাকে। তবে কল মানি রেট এতো বাড়ার কথা নয়।”
“রোববার বোঝা যাবে কল মানি রেট বাড়ার প্রকৃত কারণ কী,” বলেন ইফতেখার।
কল মানি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, আন্তঃব্যাংক লেনদেনে বৃহস্পতিবার অধিকাংশ লেনদেন হয়েছে ২০ থেকে ২২ শতাংশের মধ্যে। মোট লেনদেন হয় প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
সাধারণত অন্যান্য বছরগুলোতে দুই ঈদের আগে কলমানি থেকে ধারের প্রবণতা বেশি থাকে। তবে কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকার সংকট থাকায় তারা এখনও ধার নিয়ে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাচ্ছে।
ঈদুল আযহার পরে কল মানি রেট কমে ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল। বুধবার থেকে তা আবারও বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার কল মানি বাজারে পাঁচ হাজার ৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা লেনদেন হয়।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রুপালী ব্যাংক ধার নেয় এক হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। ২০ শতাংশ সুদে এসব টাকা ধার নেওয়া হয়। বেসরকারি খাতের ১৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ১৯ থেকে ২২ শতাংশ সুদে ৩ হাজার ১৩৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নেয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ২১ থেকে ২২ শতাংশ সুদে নেয় ৫২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অন্যান্য বছর এ সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বেশিরভাগ কল মানি যোগান দিয়ে থাকে। তবে এখন দেখা গেছে উল্টো চিত্র। বিপিসি ও অন্যান্য আমদানি এবং সরকারের ঋণের যোগান দিতে গিয়ে এ সব ব্যাংক নিজেদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এ কারণে তাদের দৈনন্দিন লেনদেন সারতে হচ্ছে কলমানি ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেপো সুবিধা নিয়ে। এসব কারণেই কল মানি লেনদেনের পরিমাণ ও সুদ হার বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এআরএইচ/পিডি/২২২২ ঘ.