সব ধরনের সোনার দর ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়েছে গহনা ব্যবসায়ীরা, যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
এর ফলে প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের সোনা দেশের বাজারে ৭৬ হাজার ৩৪১ টাকায় বিক্রি হবে।
দর বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়াকে কারণ দেখিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সোনার বাজার আবার অস্থির হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের ফলাফল কী হয়, সেটাকে মাথায় রেখে সবাই এখন সোনার মজুদ বাড়াচ্ছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ নির্বাচন হবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।
“আমার মনে হয়, জানুয়ারি পর্যন্ত গোল্ডের দাম ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে,” বলেন আগরওয়ালা।
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম খুব উঠা-নামা করছে। গত তিন সপ্তাহে প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) ৫৩ ডলার বেশি বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিছুটা কমায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর দেশে সোনার দাম ভরিতে আড়াই হাজার টাকার মতো কমানো হয়েছিল।
মহামারীর মধ্যে অস্থির বাজারে বাড়তে বাড়তে দেশে সোনার ভরি ৭৭ হাজার ২১৬ টাকায় উঠেছিল। দেশের বাজারে ওটাই ছিল সোনার সর্বোচ্চ দর।
এরপর গত ১৩ অগাস্ট সব ধরনের সোনার দাম ভরিতে সাড়ে ৩ হাজার টাকা কমিয়েছিল বাজুস। তার এক সপ্তাহ পর ২১ অগাস্ট কমানো হয় ভরিতে ১ হাজার ৪৫৮ টাকা। এরপর তিন দফা বাড়িয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর দাম কমানো হয়েছিল।
ওই দিন প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ১৮৫৮ ডলার। কিন্তু গত তিন সপ্তাহে এই সোনার দাম বেড়ে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ১৯১২ ডলারে উঠেছে।
ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রকোপও দাম বাড়ার কারণ বলে মনে করছেন আগরওয়ালা।
বাজুস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৭৬ হাজার ৩৪১ টাকায় বিক্রি হবে।
২১ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে ৭৩ হাজার ৮৫৯ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের বিক্রি হবে ৬৪ হাজার ৪৪৪ টাকায়।
আর সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ৫৪ হাজার ১২১ টাকায়।
বুধবার পর্যন্ত প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৭৪ হাজার ৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
২১ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হয়েছে ৭০ হাজার ৮৫৯ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের বিক্রি হয়েছে ৬২ হাজার ২১১ টাকায়।
আর সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হয়েছে ৫১ হাজার ৭৮৮ টাকায়।
তবে সোনার দাম বাড়লেও রুপার দামে কোনো হেরফের হয়নি। আগের দামেই বিক্রি হবে রুপার গহনা।
গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে সোনার মতো হলমার্ক চিহ্নযুক্ত (কেডিএম) রুপা বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে বাজুস।
প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট রুপা এক হাজার ৫১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২১ ক্যারেটের রুপার অলংকার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪৩৫ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের ভরি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২২৫ টাকায়।
আর সনাতন পদ্ধতির রুপার গহনা বিক্রি হচ্ছে ৯৩৩ টাকায়।