বৃহস্পতিবার থেকে প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের সোনা ৭৪ হাজার ৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিবার আগের দিন সোনার দাম বাড়ানো-কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। পরের দিন থেকে সেই দর কার্যকর হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে সোনার দর কমানোর ঘোষণা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর করার কথা জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস।
‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায়’ স্থানীয় বাজারেও দাম কমানো হয়েছে বলে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম খুব ওঠা-নামা করছিল। গত এক সসপ্তাহে সোনার দাম খানিকটা কমেছে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ যখন দেশে সোনার দাম বাড়ানো হয়, তখন বিশ্ব বাজারে প্রতি আউন্সের (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) দাম ছিল ১৯৪৫ ডলার। বৃহস্পতিবার তা ১ হাজার ১৮৫৮ ডলারে নেমে এসেছে বলে জানান দিলীপ।
বাজুস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৭৪ হাজার ৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
২১ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হচ্ছে ৭০ হাজার ৮৫৯ টাকায়। আর ১৮ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হচ্ছে ৬২ হাজার ২১১ টাকায়। সনাতন পদ্ধতির সোনা ৫১ হাজার ৭৮৮ টাকা ভরি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বুধবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৭৬ হাজার ৪৫৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের সোনা ৭৩ হাজার ৩০৮ টাকায় এবং ১৮ ক্যারেটের সোনা ৬৪ হাজার ৫৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে সোনা বিক্রি হয়েছে ৫৪ হাজার ২৩৮ টাকায়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে সোনার মতো হলমার্ক চিহ্নযুক্ত (কেডিএম) রুপা বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে বাজুস।
ক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন, সেজন্য প্রথমবারের মতো দেশে মান নির্ধারিত রুপার গয়না বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান দিলীপ কুমার আগারওয়ালা।
বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট রুপার গয়না এক হাজার ৫১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২১ ক্যারেটের রুপার অলঙ্কার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪৩৫ টাকায়। আর ১৮ ক্যারেটের রুপা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২২৫ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির রুপার গহনা ৯৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মহামারীর মধ্যে অস্থির বাজারে বাড়তে বাড়তে দেশে সোনার ভরি ৭৭ হাজার ২১৬ টাকায় উঠেছিল। দেশের বাজারে সোনার দর এটাই সর্বোচ্চ।
বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বর্ণালঙ্কারের ক্ষেত্রে বিক্রির সময় প্রতি গ্রামে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা এবং রুপায় ২৬ টাকা মজুরি ধার্য করা হয়। এছাড়া সব ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত হারে ভ্যাট (মূল্যসংযোজন কর) প্রযোজ্য হবে।