বড় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে আগ্রহী হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
Published : 28 Nov 2019, 04:44 PM
কনফেডারেশন অব এশিয়া প্যাসিফিক চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএসিসিআই) ৩৩তম সম্মেলন শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকার সোনারগাঁ হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তার এ মন্তব্য আসে।
সিএসিসিআইয়ের কেনফারেন্স বাংলাদেশে হল এবারই প্রথম। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘এশিয়া: বিশ্ব ব্যবস্থার নতুন কেন্দ্রস্থল’।
এই সম্মেলন থেকে প্রাপ্তি জানাতেই সংবাদ সম্মেলনে আসেন সিএসিসিআই সভাপতি সামির মোদী এবং এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর নেতা ফজলে ফাহিম বলেন, “গত কয় বছরে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে, সেটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আমরা তাতে সফল হয়েছি।”
তিনি জানান, সিএসিসিআই সদস্যদের মধ্যে একটি গ্রুপের হাতে প্রায় একুশ বিলিয়ন ডলার আছে, যা তারা বিনিয়োগ করতে চায়।
“বাংলাদশে কনফারেন্সটা হওয়ায় তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছে। এই বিনিয়োগ থেকে বাংলাদেশে কিছু টাকা আসার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কনফারেন্সের সবচেয়ে বড় পাওয়া এটা।”
এফবিসিসিআই ২০২০ সালে তাইপেতে একটি সম্মেলনের আয়োজন করবে। সেখানে সিএসিসিআইয়ের ওই গ্রুপও থাকবে। সেখান থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আনতে এফবিসিসিআই ‘জোর চেষ্টা’ চালাবে ফজলে ফাহিম জানান।
তিনি জানান, ঢাকায় এবারের সিএসিসিআই সম্মেলনে দুটো সমঝোতা স্মারক স্বক্ষরিত হয়েছে।
এর একটি করা হয়েছে বাংলাদেশের সব চেম্বারকে একটি ‘গ্লোবাল ইন্টারনেট প্লাটফর্মে’ যুক্ত করার জন্য। সেখানে তারা তাদের পণ্য ও সেবা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারবে।
দ্বিতীয় এমওইউটি হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অফ অ্যাডভান্সড এডুকেশন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। তারা এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে ট্রেনিং মডিউল শেয়ার করবে, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রিতে অ্যাক্রেডিটেশন দেবে।
“আমরা আশা করি এর ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আসবে এই খাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি আমাদের দেশে কর্মসংস্থান হবে।”
বর্তমানে ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিতে যে পরিমাণ দক্ষ লোক প্রয়োজন, তার ৪০ শতাংশ বাজারে আছে জানিয়ে ফজলে ফাহিম বলেন, “ফলে এ ধরনের ট্রেনিং বাংলাদেশে এলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ হবে।”
সিএসিসিআই সভাপতি সামির মোদী বলেন, বাংলাদেশ তিনটি ‘অসাধারণ’ দিন কেটেছে তাদের। ‘সুন্দর আতিথিয়তা’ পেয়েছেন।
“যতটুকু দেখেছি, বাংলাদেশে ব্যবসা করার মত এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার মত অনেক সম্ভাবনা আছে।”
সামনের দিনগুলোতে এফবিসিসিআই সদস্য এবং সিএসিসিআই সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়বে এবং এর মধ্য দিয়ে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে বলে আশা প্রকাশ করেন সামির মোদী।