ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ মারকোসার জোটভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
Published : 28 Aug 2019, 09:21 PM
আগামী ডিসেম্বরে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর এই আঞ্চলিক বাণিজ্য জোটের শীর্ষ সম্মেলনে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাণিজ্য সম্প্রসারণে সম্প্রতি ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে সফর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সফর সম্পর্কে জানাতে বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মারকোসার বাণিজ্যজোটভুক্ত ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের সাথে এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
“তবে দেশগুলো নীতিগতভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্মত।”
দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্যিক জোট মারকোসার’র শীর্ষ সম্মেলন হবে আগামী ডিসেম্বরে। এ সম্মেলনে বাংলাদেশের এফটিএ স্বাক্ষরের প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। সদস্যভুক্ত দেশগুলো একমত হলে এফটিএ স্বাক্ষর করা সম্ভব হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ৩০ কোটি ক্রেতা ও চার ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপির এ অঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ‘বিশাল সম্ভাবনা’ রয়েছে। বিভিন্ন রকম শুল্ক বাধা থাকার কারণে সেখানে রপ্তানির পরিমাণ খুবই সামান্য। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৩৫ ভাগ আমদানি শুল্কসহ মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৬০ ভাগ।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ অঞ্চলে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে উচ্চ হারে শুল্কের কারণে প্রত্যাশিত রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোও বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে এবং তুলা রপ্তানির জন্য ওয়্যার হাউজ নির্মাণ করতে চায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এফটিএ’র মাধ্যমে শুল্ক হার হ্রাস করলে এ অঞ্চলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ টেক্সটাইল, ওষুধ, তামাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, টেবিল ওয়্যার প্রভৃতি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
বাণিজ্যমন্ত্রীর এই সফরে ব্রাজিলের ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন সাঁও পাওলো চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে একটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বিজিএমইএ।
বিজিএমই-এর উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আগামী নভেম্বর মাসে ব্রাজিলে একটি সিঙ্গেল কান্ট্রি আরএমজি এক্সিবিশন অ্যান্ড ফ্যাশন শো-এর আয়োজন করা হবে বলেও জানানো হয়।
বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানির উপর ব্রাজিল ১৯৯২ সালে অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করে। ব্রাজিল অচিরেই ওই শুল্ক প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
ব্রাজিলের বাণিজ্যিক রাজধানী সাঁও পাওলোতে একটি কনসাল জেনারেল অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।