এশিয়া অঞ্চলে চাল সরবারহে বৈষম্য দূরীকরণে সমাধান নিয়ে আসার জন্য ২০১৮-২০১৯ টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের বিজয়ী হয়েছে অ্যাগ্রিম্যাচ। এই দলে আছেন বাংলাদেশের সামীন আলম।
Published : 29 May 2019, 10:11 PM
অ্যাগ্রিম্যাচ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি এমনভাবে উন্নয়ন করা হয়েছে যেখানে ভৌগোলিক অবস্থান ব্যবহার করে কৃষক ও মধ্যস্থতাকারীরা যোগাযোগ করবে। বিজয়ী হিসেবে অ্যাগ্রিম্যাচ ১৫ হাজার ডলার সিডফান্ড জিতে নিয়েছে।
মঙ্গলবার ব্যাংককে ডিট্যাকের প্রধান কার্যালয়ে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের ২০১৮-২০১৯ কার্যক্রমের চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয় বলে গ্রামীণ ফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, পাঁচ হাজার অবেদনকারীর মধ্যে আট দেশের ২০-২৮ বছর বয়সী ১৬ জন বিজয়ী তরুণ এই কার্যক্রমে তাদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়। তারা টেলিনর গ্রুপ ও ডিট্যাকের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সামনে ডিজিটাল সেবা নিয়ে তাদের ধারণা উপস্থাপন করেন।
ডিট্যাকের প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্রা রাইখ, টেলিনর গ্রুপের চিফ কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স অফিসার আনা কারিন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, ইউনিসেফ ও নোবেল পিস সেন্টারের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাগ্রিম্যাচ দলে ছিলো বাংলাদেশের সামীন আলম, মালয়েশিয়ার র্যাচেল লো, নরওয়ের এমিলি উনায়েস এবং ডেনমার্কের ইনগ্রিদ রাসমুসেন। এ দলের জন্য প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন টেলিনর রিসার্চের ভিপি আইয়েভা মার্টিনকেনাইট।
খাদ্য উৎপাদনে টেকসই সমাধান এবং সুযোগ বৃদ্ধিতে ডিজিটাল সমাধান নিয়ে আসাই ছিলো এ দলের চ্যালেঞ্জ, যা অসাম্য দূরীকরণে বিশেষ অবদান রাখবে। এ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কৃষক এবং মধ্যস্ততাকারী নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে এবং পণ্যের দাম নির্ধারণ করতে পারবে।
টেলিনর গ্রুপের ইভিপি এবং চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আনা কোয়াম বলেন, “টেলিনরের বৈশ্বিক বিস্তৃতি, মান ও আমাদের দক্ষতা ব্যবহার করে অসাম্য দূরীকরণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। অ্যাগ্রিম্যাচের সম্ভাবনায় আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে এবং আমাদের প্রত্যাশা তারা দ্রুতই মোবাইল-অ্যাগ্রি সল্যুশন নিয়ে আসবে।”
গত ডিসেম্বরে নোবেল পিস প্রাইজ সপ্তাহে এ বছরের টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম শুরু হয়। যেখানে ১৬ জন প্রতিনিধি চারটি দলে বিভক্ত হয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। এখান থেকে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ধারণার উন্নয়ন শুরু করে পর্যায়ক্রমে সেবার প্রোটোটাইপ তৈরি এবং ব্যবহারকারীদের নিয়ে গবেষণা করে, যা ব্যাংককে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়।