প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াত-নিয়ন্ত্রিত হিসেবে পরিচিত ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন এলেও কর্মী ছাঁটাইয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন নতুন চেয়ারম্যান আরাস্তু খান।
Published : 12 Jan 2017, 04:06 PM
তবে ব্যাংকের কেউ সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলে তা ‘মেনে নেওয়া হবে না’ জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ প্রতিষ্ঠানে তিনি পেশাদারদের চান।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আরাস্তু খান।
মালিকানা, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় কয়েক ধাপে পরিবর্তন আনার মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২৪০তম সভায় আরাস্তু খানকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়, যে দায়িত্ব আগে পালন করে আসছিলেন জামায়াতঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ইবনে সিনা ট্রাস্টের মুস্তাফা আনোয়ার।
গত ৫ জানুয়ারি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম বৈঠকে ব্যাংকের ‘পারফরমেন্স নিয়ে’ কথা হয়েছে বলে সাবেক সচিব আরাস্তু খান জানান।
বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১ হাজার ৬১০ কোটি টাকা; আর বাজার মূলধন চার হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে ব্যাংকটির নিট মুনাফা ছিল ৩১৫ কোটি।
এই অগ্রগতি কোনোভাবে থমকে যাওয়ার সুযোগ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, “নো নো, আমাদের শেয়ার মার্কেটের পরিস্থিতি দেখেন প্রিটি গুড। দেশে বিদেশে আমাদের যারা বিনিয়োগকারী রয়েছেন, আমরা তাদের আমানত প্রোটেক্ট ও প্রিজার্ভ করব।”
ইসলামী ব্যাংক থেকে কাউকে ছাঁটাই করা হবে না এই আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “আমি তাদেরকে নিশ্চিত করেছি, তাদেরকে বলেছি, খুঁজে খুঁজে কারও চাকরি খাওয়ার ইচ্ছা নাই। এটা খুবই ভাল ব্যাংক। পারফরমেন্সও ভাল।
“যদি পলিটিক্যালি তারা কোনো সাবভারশন করছে, ওই ধরনের হলে আমরা কোনোভাবেই সেটা অ্যালাউ করব না। এছাড়া কোনো কারণে তাদের চাকরি... আমি নিশ্চিত করেছি।”
রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বলতে কী বোঝাচ্ছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আরাস্তু খান বলেন, “সম্পৃক্ততা পেলে বলতে যদি দেখা যায়, পলিটিক্যাল অ্যাসপিরেশন আছে, আমরা এটা চাই না। আপনারা পেশায় আছেন, আপনাদেরকে পেশাদার হিসাবে কাজ করতে হবে।”
এটা ‘রাজনৈতিক কিছু না’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চেয়ারম্যান বলেন, “আপনি ভোট দেন, আপনি বিএনপিকে ভোট দিতে পারেন, আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে পারেন। সেটা করার অধিকার আপনার আছে। এটা আপনার পেশায় প্রতিফলন করতে পারবে না।
“সে যদি প্রোপার কাজ করে, তার কোনো ভয় নেই। এই ব্যাংকে যে কর্মকর্তারা আছেন, তাদের একনিষ্ঠতা ও সততা সম্পর্কেতো আমার বলতে হবে না। আপনারা সেটা ভালো জানেন। সেটা ভালো। আমরা আগামী বছরের জন্য আরও ভাল টার্গেট দিয়েছি।”
আরাস্তু খান বলেন, “উইচ হান্টিং আমি পছন্দ করি না, আনলেস আই ফাইন্ড সামথিং রং।”