ননস্টপ বাংলাদেশ’ স্লোগানে তৃতীয়বারের মত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড- ২০১৬ আয়োজন করছে সরকার।
Published : 19 Sep 2016, 02:58 PM
বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল করভেনশন সিটির চারটি হলরুমে আগামী ১৯, ২০ ও ২১ অক্টোবর এই আয়োজনে ৪০টি মন্ত্রণালয় তাদের ডিজিটাল কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি নানা পণ্যও প্রদর্শন করবে।
প্রদশর্নীতে সফটওয়্যার শোকেসিং, ই-গভর্নেন্স এক্সপোজিসন, মোবাইল ইনোভেশন, ই-কমার্স এক্সপো, স্টার্টআপ জোন ছাড়াও আইসিটি সংশ্লিষ্ট ১২টি সেমিনার, মিনিস্ট্রিরিয়াল/ডেভেলপমেন্ট পার্টনারস কনফারেন্স, আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প ও আইসিটি এডুকেশন সম্মেলন হবে।
সোমবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে আটজন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।
সভার শুরুতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের বিভিন্ন বিষয়ও প্রোজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন হলো এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে।”
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জাতীয় নির্বাচনে ভোটিং সিস্টেমকে ডিজিটাইজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
“আমাদের ন্যাশনাল ভোটিং সিস্টেমকেও যদি ডিজিটাইজ করতে পারতাম, ইটস নট ভেরি টাফ জব। আমি মনে করি বাংলাদেশ একদিন ফুললি ডিজিটাইজ হবে,” বলেন মন্ত্রী।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, “শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে যখন ডিজিটাল কথাটা বলেছেন বিরোধীপক্ষ তখন মশকরা করত। এখন এর ছোঁয়া গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।”
ডিজিটাল কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “এই গতি থাকলে টার্গেট ছাড়িয়ে যাব। এই খাত অর্থনীতিতেও বিরাট ভূমিকা রাখছে।”
ট্রেনেও ডিজিটাল ছোঁয়া লেগেছে মন্তব্য করে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এবারের সম্মেলনে তার মন্ত্রণালয়ের নেওয়া কর্মকাণ্ড বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সরকারের বিভিন্ন ডিজিটাল কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের আরও সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন।
সরকার কতটুকু ডিজিটাল সেবা দিচ্ছে জনগণ তা জানে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কোন কোন মন্ত্রণালয় কী কী সেবা দিচ্ছে তার তালিকা থাকা উচিত।
“সাইবার জগতের বড় হুমকি সাইবার ক্রাইম। এটা মোকাবেলায় সরকার কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তারও প্রদর্শনী থাকা উচিত।”
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, “এখন আর আলাদা ব্র্যান্ড খোঁজার দরকার নেই, ডিজিটাল বাংলাদেশ ইটসেলফ এ ব্র্যান্ড।”
শিল্পমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার বলেন, “প্যাটেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন আইন করা জরুরি। পুরাতন আইন দিয়ে সফটওয়্যার রক্ষা করতে পারব না।”
সভায় জানানো হয়, আইসিটি বিভাগের আয়োজনে এবারের মেলায় প্রায় ৫০ জন বিদেশি আইসিটি বিশেষজ্ঞ ছাড়াও তিন লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হতে পারে।
গত বছর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজনে নয় কোটি ৫৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। এবার খরচ ধরা হয়েছে নয় কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
বিসিসি, বেসিস ও এটুআই এবারের মেলার সহযোগী আয়োজক। বিসিএস, আইএসপিএবি, বাক্য, বিডব্লিউআইটি, সিটিও, ফোরাম ও এমটব এই আয়োজনে সহযোগিতা করবে।
আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার ছাড়াও সভায় বেসিস ও এটুআই-এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।