ফার্নেস অয়েলের পর এবার ‘ধাপে ধাপে’ অন্য জ্বালানি তেলের দামও কমাতে যাচ্ছে সরকার।
Published : 04 Apr 2016, 07:01 PM
আগামী সপ্তাহে দাম কমানোর প্রজ্ঞাপন হতে পারে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
জ্বালানি তেলের দাম কমাতে বিভিন্ন মহলের দাবির মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ফার্নেস অয়েলের দাম কমায় সরকার।
এই জ্বালানি তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪২ টাকা করা হয়েছে।
অন্য জ্বালানির দাম কমানো হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে সোমবার সন্ধ্যায় বিপু বলেন, “আমরা তেলের দাম কমাতে যাচ্ছি। হ্যাঁ, সবগুলোর দাম কমবে।”
তিনি বলেন, “ধাপে ধাপে কমবে। দুই থেকে তিন ধাপে কমবে।”
ধাপে ধাপে কেন এ প্রশ্নের উত্তরে বিপু বলেন, “আমরা চাচ্ছি আগে দেখতে; ১০ টাকা বা পাঁচ টাকা যদি কমানো হয় তাহলে বাজার কী রকম আচরণ করে।”
জ্বালানির দাম কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমি কালকে হয়তো লিখিত নির্দেশনা দিয়ে দেব।”
বিশ্ব বাজারে গত দেড় বছর ধরে তেলের দরপতন চলার কারণে দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানির দাম কমানোর দাবি ওঠে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পক্ষে মত দেন।
ভর্তুকির লোকসান থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে তুলতে দাম অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সর্বশেষ ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের সময় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সেই হারে বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তখন প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েলের দাম ৬০ টাকা স্থির হয়েছিল, যা বৃহস্পতিবার কমানো হয়।
বাংলাদেশে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও যানবাহন বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক বছর ধরে ৫০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি জ্বালানি তেলের চাহিদা তৈরি হয়েছে; যার মধ্যে প্রায় সবই আমদানি করতে হয়।