মোবাইল ফোন অপারেটরদের টাওয়ার ব্যবস্থাপনায় কোম্পানি গঠনে নতুন লাইসেন্স দিতে নিলামে যাচ্ছে সরকার।
Published : 26 Jan 2016, 06:16 PM
টেলিযোগাযোগ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন প্রতিষ্ঠানই লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে টেলিকম খাতের প্রতিবেদকদের সংগঠন 'টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।
“এটি একটি নতুন বিষয়। এর মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে সবার কাছে প্রযুক্তি ও সংযোগ সহজলভ্য করা।”
রাষ্ট্রয়াত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকসহ ছয়টি অপারেটরের মোবাইল ফোনের টাওয়ারের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪০০।
এবিষয়ে একটি নীতিমালা দাখিল করা হয়েছে জানিয়ে বিটিআরসি সচিব বলেন, “ টাওয়ার শেয়ার নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পর নিলাম হবে। নিলামের শর্তে থাকবে, অপারেটরা কেউ এই নিলামে অংশ নিতে পারবে না, নতুন কেউ আসবে।
“এটি আলাদা কোম্পানি হবে; অপারেটরদের টাওয়ার এদের কাছে লিজ বা বিক্রি করা হবে পারস্পরিক সমঝোতায়। অপারেটররা ইচ্ছা করলেই পারস্পরিক টাওয়ার শেয়ার করতে পারবে না, থার্ড পার্টি বা টাওয়ার কোম্পানি তা করবে।”
ইডটকো নামে একটি প্রতিষ্ঠান সরকার থেকে (এনওসি) অনুমতি নিয়ে বর্তমানে টাওয়ার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
নতুন লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠান যোগ্য হবে কি না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কোনো অপারেটরের সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক থাকলে তা থেকে বিযুক্ত হয়েই তাদের প্রক্রিয়ায় আসতে হবে।”
আজিয়াটা বারহাদ গ্রুপের একক মালিকানাধীন টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা প্রদানকারী সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ইডটকো। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইডটকোর ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালন কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্বাধীন। এটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় টাওয়ার, জ্বালানি, ট্রান্সমিশন এবং পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ সব ধরনের অবকাঠামো সেবা দিয়ে থাকে।
সাক্ষাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, “নিয়মতান্ত্রিকভাবে মোবাইল ফোন টাওয়ার নেই, অনেক জায়গায় কাভারেজ দেওয়ার মত টাওয়ারও নেই। শুধু বিভাগীয় শহরগুলোতে অপারেটরদের দৃষ্টি।
“রোলআউট করতে সুষম বন্টন করতে চাই।”
বিটিআরসির সচিব মো. সরওয়ার আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সম্প্রতি টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানির লাইসেন্স দেওয়ার নীতিমালা চূড়ান্ত করতে একটি খসড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রক্রিয়ায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে বিটিআরসির।
প্রস্তাব অনুযায়ী মোবাইল ফোন অপারেটরদের টাওয়ারগুলোর পরিচালনার ভার আর তাদের হাতে থাকবে না। ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তৃতীয় পক্ষ হিসেবে দুটি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি পাবে।