অব্যবহৃত ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ভারতে রপ্তানির সিদ্ধান্তকে লাভজনক বলছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি-বিএসসিসিএল।
Published : 09 Aug 2015, 04:42 PM
সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনার জবাবে রোববার বিএসসিসিএল এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতকে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইডথ দেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে।
সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, আগামী তিন বছরের চাহিদা মিটিয়েও বাংলাদেশে অব্যবহৃত ব্যান্ডউইডথ থাকবে। আর ভারতে রপ্তানি করে দামও বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমানে বিএসসিসিএল তাদের ২০০ জিবিপিএস-এর মাত্র ৩৩ জিবিপিএস বাংলাদেশের বাজারে সরবরাহ করতে পেরেছে বলে জানান তিনি।
“২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে সবমিলিয়ে ৯০ জিবিপিএস চাহিদা হতে পারে, তখনও বাংলাদেশে ১১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ অব্যবহৃত থাকবে।”
“আমরা বাড়তি ব্যান্ডউইডথ ভারতে রপ্তানি করছি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি দামে, যার ফলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে,” বলেন বিএসসিসিএল এমডি।
তিন বছরের চুক্তিতে ভারতে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানির প্রস্তাব গত ২০ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদন করে। ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল) এবং বাংলাদেশের বিএসসিসিএল-এর মধ্যে এই চুক্তি সই হবে।
সেদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেছিলেন, ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি করে বাংলাদেশ বছরে বৈদেশিক মুদ্রায় ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা পাবে।ওই অর্থের এক-চতুর্থাংশ দিয়ে বিএসসিসিএল-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন হয়ে যাবে।
বিএসসিসিএল এমডি বলেন, ভারতে প্রতি মেগাবিট ১০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে, আর বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে ৬২৫ টাকায়।
বাংলাদেশ থেকে ৪০ জিবিপিএস পর্যন্ত ব্যান্ডউইডথ ভারতে রপ্তানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের একমাত্র সাবমেরিন কেবল সি-মি-ইউ-৪ এর কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে আখাউড়া হয়ে আগরতলা দিয়ে এ ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগামী বছর ডিসেম্বরে একটি কনসোর্টিয়ামের আওতায় সি-মি-ইউ-৫ বা দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হলে বাংলাদেশ অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইডথ পাবে।
“ভবিষ্যতে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়লেও কোনো সঙ্কট হবে না। কারণ দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হলে মোট ব্যান্ডউইডথ হবে ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস। ইন্টারনেট সংযোগে যখন আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে যাব, তখনও কোনো সঙ্কট হবে না,” রপ্তানির পক্ষে যুক্তি দেখান তিনি।