ওয়ালটন থেকে ২৫ হাজার আইসক্রিম ফ্রিজার কিনবে লাভেলো

দেশে লাভেলোর ২২ হাজারের বেশি আউটলেটে ওয়ালটনের ফ্রিজার ব্যবহার করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2023, 02:48 PM
Updated : 11 May 2023, 02:48 PM

ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির কাছ থেকে আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি ও ফিচারের ২৫ হাজার ইউনিট আইসক্রিম ফ্রিজার কিনবে আইসক্রিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লাভেলো।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ওয়ালটন।

তাওফিকা ফুডস এন্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসির চেয়ারম্যান দাতিন’ শামীমা নার্গিস হক এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পরিচালক জাকিয়া সুলতানা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি সই করেন।

ওয়ালটনের জাকিয়া সুলতানা বলেন, “বাংলাদেশে আইসক্রিম বাজার দিন দিন বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে কমার্শিয়াল ফ্রিজের বাজারও। সম্ভাবনাময় এই বিশাল বাজার ছিলো আমদানি নির্ভর। ওয়ালটন এই আমদানি নির্ভরতা দূর করে এ খাতে দেশীয় শিল্পে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।

“কমার্শিয়াল ফ্রিজে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা আশা করি, লাভেলোর মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও বাংলাদেশে তৈরি আন্তর্জাতিক মানের টেম্পারড গ্লাস ডোরের আকর্ষণীয় ডিজাইন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আইসক্রিম ফ্রিজারসহ ওয়ালটনের কমার্শিয়াল ফ্রিজে আস্থা রাখবেন।”

লাভেলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাতো’ মো. একরামুল হক বলেন, “বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও শীর্ষ দুই ব্র্যান্ড ওয়ালটন ও লাভেলো। দেশের আইসক্রিম প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার ফ্রিজার আমদানি করছে। আজ লাভেলো ও ওয়ালটনের মধ্যে চুক্তির মধ্য দিয়ে সম্ভাবনাময় আইসক্রিম ফ্রিজারের বাজারে ‘মেইড ইন বাংলাদেশের’ যাত্রা শুরু হলো। ওয়ালটনের প্রতি আমাদের দৃঢ় আস্থা রয়েছে। তাই ওয়ালটনের কাছ থেকে লাভেলো এককভাবে ২৫ হাজার আইসক্রিম ফ্রিজার নিবে। ভবিষ্যতে এই চাহিদা আরও বাড়বে।”

ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তোফায়েল আহমেদ জানান, “দেশে আইসক্রিম ফ্রিজারের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার ইউনিট। যেখানে ওয়ালটনের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৪০ হাজার ইউনিটের বেশি। অন্যদিকে বেভারেজ কুলারের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার ইউনিট। আর ওয়ালটনের একক বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১ লাখ ইউনিটের বেশি।

“কিন্তু কিছু স্থানীয় ডিলার ও ইন্ডাস্ট্রি এখনো বিদেশ থেকে বেভারেজ কুলার ও ফ্রিজ আমদানি করে দেশের বাজারে চড়ামূল্যে বিক্রি করছে। ফলে একদিকে ব্যয় হচ্ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় উৎপাদক ও শিল্পের অগ্রগতি। তাই দেশে উৎপাদিত এসব পণ্যের আমদানি বন্ধে এখনই কঠোর সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া হলে দেশীয় উচ্চ প্রযুক্তি শিল্প আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারাদেশে লাভেলোর ২২ হাজারের বেশি রিটেইল আউটলেট রয়েছে। লাভেলোর এই রিটেইল আউটলেটগুলোতে ওয়ালটন আইসক্রিম ফ্রিজার দেওয়া হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লাভেলোর চিফ অপারেটিং অফিসার মো. কামরুজ্জামান, চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার কাওসার আহমেদ, ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. শাহজাদা সেলিম ও ইঞ্জিনিয়ার মো. তানভীর আনজুম, হেড অব ওয়ালটন করপোরেট সেলস আহমেদ তানভীর, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটনসহ অনেকে।

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে ফ্রিজ ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে উচ্চ গুণগতমানের আধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের আড়াইশোর বেশি মডেলের ফ্রিজ তৈরি করা হচ্ছে।