কারফিউ চলাকালে পোশাক খাতের শ্রমিক, মিড লেভেল ব্যবস্থাপনা কর্মী এবং ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে কারখানার পরিচয়পত্রই কারফিউ পাস হিসেবে গণ্য করা হবে।
Published : 24 Jul 2024, 12:16 PM
কোটা আন্দোলন ঘিরে নৈরাজ্যে ছয় দিনের অচলাবস্থার পর কারফিউ শিথিল করায় ফের উৎপাদনে ফিরছে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প।
এ খাতের শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বুধবার সকালে কারফিউ চলাকালে পোশাক খাতের শ্রমিক, মিড লেভেল ব্যবস্থাপনা কর্মী এবং ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে কারখানার পরিচয়পত্রই কারফিউ পাস হিসেবে গণ্য করা হবে।
সরকারি চাকরির কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতার কারণে গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যায় কল কারখানা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক মত বিনিময় অনুষ্ঠানে রপ্তানিকারকরা কারখানা খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান। পরে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কারখানা খোলার সবুজ সংকেত মেলে।
বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচির নেতৃত্বে বিজিএমইএ বোর্ড, বিকেএমইএ নেতারাসহ পোশাক ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসভবনে ওই বৈঠকে অংশ নেন। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদী, মো. সিদ্দিকুর রহমান ও মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ বলেছে, বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণ ও সম্পদের নিরাপত্তা রক্ষা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ জানান।
বুধবার থেকে দেশের পোশাক কারখানাগুলো যাতে নিরাপদে উৎপাদনে যেতে পারে, সেজন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করেত তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশনা দেন বলে বিজিএমইএ জানিয়েছে।