জুন শেষে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসার কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
Published : 06 Jun 2024, 12:32 AM
লোকসানে ডুবে থাকা ডাক বিভাগ, টেলিটক, টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানিকে (বিটিসিএল) বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেছেন, বিনিয়োগকারী পেলে সম্পূর্ণ বা আংশিক অথবা অংশীদারত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
ঢাকার একটি হোটেলে মঙ্গলবার রাতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। সেই কথোপকথনের ভিডিও নিজের ফেইসবুক পেইজেও পোস্ট করেছেন তিনি।
ভিডিওতে প্রতিমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “বিটিসিএল, টেলিটক, টেশিস ও ডাক বিভাগ- এ চার প্রতিষ্ঠানকে আমাদের আধুনিকায়ন, স্মার্ট ও ব্যবসাবান্ধব করা এবং এগুলোর অব্যবহৃত সম্পদের যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যেই আমরা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের কথা ভাবছি।
“জুন শেষে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্তে আসব।”
পলক বলেন, বিটিসিএল, টেশিস ও ডাক অধিদপ্তর- এ তিন প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর ১ হাজার কোটি টাকার ওপরে লোকসান গুণতে হচ্ছে। অথচ তাদের হাজার হাজার লোকবল আছে, হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ আছে এবং এসব সেবার চাহিদাও আছে।
তিনি বলেন, ”আমরা বলেছি যদি তারা লোকসান থেকে লাভে না আসতে পারে, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে না পারে এবং আয় যদি বাড়াতে না পারে; তাহলে এভাবে বছরের পর বছর ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়।
“তখন চিন্তা করতে হবে এগুলোকে আংশিকভাবে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেব না কি সম্পূর্ণভাবে, না কি একটা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে?”
লোকসানি তিন প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করতে দেশি ছাড়াও যদি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসে, তাতেও সরকারের আপত্তি না থাকার কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
আধুনিকায়নের পরও মার্কেটিং, ব্যবস্থাপনা ও গুণগত সেবা নিশ্চিত করতে না পারায় বিটিসিএল লাভের মুখ দেখছে না বলে মনে করছেন তিনি।
ডাক বিভাগের নানা অসংগতি তুলে ধরে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার যুক্তি দেন তিনি।
মোবাইল সেবাদাতা রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটককেও বেসরকারি খাতে ছেড়ে না দেওয়ার পক্ষে কোনো ‘খোঁড়া যুক্তি’ মেনে নিতে রাজি নন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “টেলিটক প্রসঙ্গে একটা খোঁড়া যুক্তি আছে। সেটা হল টেলিটক না থাকলে অন্য মোবাইল অপারেটরদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। আমি মনে করি, এটি খোঁড়া যুক্তি। বিটিআরসি তো আছেই মোবাইল অপারেটদের নিয়ন্ত্রক হিসেবে। তারা সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে।”
চীনা তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে আয়োজিত ‘উইমেন ইন টেক বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের জন্য মঙ্গলবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জারা জাবীন মাহবুব, হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বক্তব্য রাখেন।