‘সরাসরি রপ্তানিকারক’ স্বীকৃতি চায় বিজিএপিএমইএ

‘কোনো ধরনের শ্রম অসন্তোষ ছাড়াই এই খাতে প্রায় ৮ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার পরও সরাসরি রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি আমরা পাইনি”, বলেন বিজিএপিএমইএ সভাপতি।

গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পকে ‘সরাসরি রপ্তানিকারক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (বিজিএপিএমইএ)।

সংগঠনটি বলছে, কোটি কোটি ডলারের পণ্য সরাসরি রপ্তানি করার পরও সরকার এই শিল্পকে আজও ‘সহযোগী খাত’ হিসেবে মূল্যায়ন করছে।

গত বুধবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয় গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পের চার দিনব্যাপী প্রদর্শনী, যার সমাপনী ছিল শনিবার।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজিএপিএমইএ সভাপতি মো. শাহরিয়ার গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পকে ‘সরাসরি রপ্তানিকারক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তোলেন বলে সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

‘গার্মেন্টস টেকনোলজি প্রদর্শনী বাংলাদেশ’ এবং ‘গ্যাপ এক্সপো ২০২৪’ নামে দুটি প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। আয়োজক ছিল বিজিএপিএমইএ এবং এএসকে ট্রেড শো অ্যান্ড এক্সিউবিশন প্রাইভেট লিমিটেড।

বিজিএপিএমইএ সভাপতি বলেন, “তৈরি পোশাক ও ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহৃত অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য রপ্তানি করে আমরা প্রায় ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করছি। অথচ সরকার আমাদের এখনো সহযোগী খাত হিসেবেই বিবেচনা করছে।

“সরাসরি রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি ও নীতি সহায়তা পেলে আমরা বৈশ্বিক বাজারে আরও ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারব।”

তিনি বলেন, “কোনো ধরনের শ্রম অসন্তোষ ছাড়াই এই খাতে প্রায় ৮ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার পরও সরাসরি রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি আমরা পাইনি।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। তিনি বিজিএপিএমইএ সভাপতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “সঠিক তথ্য পেলে এই খাতের স্বীকৃতি ও সমস্যাগুলো সমাধানে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।”

বিজিএপিএমইএর সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মতি বলেন, “অতীতে বিভিন্ন সময়ে সরকারের দপ্তরে গিয়ে সমস্যাগুলোর সমাধান হয়নি। আমাদের বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণী সভায় অন্তর্ভুক্ত করলে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ তৈরি হবে।”

বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএপিএমইএ জানায়, আইসিসিবির আটটি হলে দুটি প্রদর্শনীতে ২৫টি দেশের প্রায় ৫০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।