নিত্যপণ্য: উৎপাদন খরচের আড়াই গুণ দামকে ‘যৌক্তিক’ ভাবছে সরকার

প্রায়ই বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে; অভিযোগ ওঠে, ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। এ নিয়ে আলোচনা থাকলেও কখনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

ওয়াসেক বিল্লাহশাহরিয়ার নোবেলবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2023, 07:12 PM
Updated : 18 May 2023, 07:12 PM

নিত্যপণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে যে ‘যৌক্তিক মুনাফার’ কথা বলা হয়, সেটি আসলে কত?

এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে কৃষিপণ্য বিপণন অধিদপ্তরের ‘যৌক্তিক মুনাফার’ একটি তালিকা পাওয়া গেল। সেই তালিকা অনুযায়ী দেখা যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচের প্রায় দ্বিগুণ, কখনও আড়াই গুণ বেশি দামে পণ্য বিক্রির সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।

চাল, ডাল, শাক সবজি, মাছ ডিম, দুধ এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের জন্য আলাদা আলাদা সর্বোচ্চ মুনাফার হার ঠিক করে দেওয়া আছে সরকারের বিধিতে।  

এই ‘যৌক্তিক মূল্য’ বাস্তবায়নে জেলা পর্যায়ে কৃষি বিপণন সমন্বয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, জেলা প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সিনিয়র বা কৃষি বিপণন কর্মকর্তাসহ ১৬ জন।

দুই জন কৃষি অর্থনীতিবিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, সরকার যে হার ঠিক করেছে এটা ‘মাত্রাতিরিক্ত’। এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ পড়ছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে গত এক মাসে নানাভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ফোনে কথা বলে সময় নিয়ে একাধিকার যাওয়া হয়েছে তার দপ্তরে। কিন্তু তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দপ্তরের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, এই ধরনের কোনো বিধান নেই। পরে তাকে আইন দেখালে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কথা বলার এখতিয়ার তার নেই।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর আগেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি আর খাদ্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি বর্ধিত জাহাজ ভাড়া দেশে দেশে বাড়িয়ে দেয় নিত্যপণ্যের দাম। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে প্রায়ই বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে অস্বাভাবিক হারে। অভিযোগ ওঠে, ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে ইচ্ছা করে সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন। এ নিয়ে আলোচনা থাকলেও কখনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

গত কয়েক মাসে তুমুল আলোচনা হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি নিয়ে। ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে থাকা মুরগির দাম এক মাসেরও কম সময়ে আড়াইশ টাকা এমনকি ২৮০ টাকা ছুঁয়ে বিক্রি হতে থাকে।

পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজারে হস্তক্ষেপ করে। তারা বড় কয়েকটি কোম্পানিকে আলোচনায় ডাকে। একটি কোম্পানি স্বীকার করে, তাদের উৎপাদন খরচ ১৩০ টাকার মত। খামারি পর্যায়ে এটি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি।

উৎপাদন খরচের দ্বিগুণ দামে বিক্রি হওয়াটা কি অযৌক্তিক?- এই প্রশ্নের মধ্যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সেই তালিকাটি সামনে আসে।

ওই তালিকায় ব্রয়লার মুরগির কথা বলা নেই। তবে সেখানে মাছ এবং ডিমের মুনাফার হার বেঁধে দেওয়া আছে।

সরকার ভোজ্য তেল, চিনি ও এলপিজির দাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। তবে কোন পর্যায়ে কত টাকা মুনাফা ধরে এই দাম ঠিক করা হয়েছে তা কখনো প্রকাশ করা হয় না।

আমদানি করা ভোজ্যতেল বা চিনির সর্বোচ্চ দর নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার কোন সূত্র কাজে লাগায় তা প্রকাশ করে না। এই দাম নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনকেও রাখা হয় না।

সরকার খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১২০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। অথচ টিসিবির জন্য সরকার বিদেশ থেকে চিনি কিনছে ৮২ টাকা কেজি দরে।

ধান, গমের খরচের আড়াই গুণ দামে মুড়ি, আটা বিক্রির সুযোগ

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষি বিপণন বিধিমালায় ধান, চাল, গম ও ভুট্টার ক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে ৩০ শতাংশ করে মুনাফার সুযোগ রাখা আছে।

অর্থাৎ, এসব পণ্যের উৎপাদন খরচ যদি ১০০ টাকা হয় সেটি বিক্রি করা যাবে ১৩০ টাকায়। পাইকার ১৫ শতাংশ মুনাফা রেখে তা বিক্রি করতে পারবে ১৪৯ টাকা ৫০ পয়সায়।

আর খুচরা বিক্রেতা ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৩৭ টাকা ৩৭ পয়সা মুনাফা রেখে সেই চাল বা গম ১৮৬ টাকা ৮৭ পয়সা পর্যন্ত দামে বিক্রি করলেও সেটা যৌক্তিক মুনাফা ধরা হবে। 

আবার যেহেতু ধান-চাল থেকে চিড়া-মুড়ি এবং গম ও ভুট্টা দিয়ে আটা-ময়দা তৈরি হয়, তাই ধান ও গমের উৎপাদন খরচের অনেক বেশি দামে চিড়া-মুড়ি ও আটা-ময়দা বিক্রি করা যাবে।

এখন যে কৃষক তার ১০০ টাকা উৎপাদন খরচের গম ১৩০ টাকায় বিক্রি করলে সেটা দিয়ে যদি আটা বা ময়দা তৈরি করা হয়, তাহলে সেটা আরও ৩০ শতাংশ বেশিতে ১৬৯ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব (গম থেকে আটা-ময়দার বানানোর খরচ ধরা হয়নি)। এরপর পাইকারিতে ১৫ শতাংশ এবং খুচরায় আরও ২৫ শতাংশ মিলিয়ে সেই আটা বা ময়দা ২৪২ টাকাতেও বিক্রি করা সম্ভব।

সবজিতেও উচ্চ মুনাফার সুযোগ

আলু ও সবজিতে উৎপাদন খরচ ১০০ টাকা হলে কৃষকের বিক্রির সুযোগ আছে ৪০ শতাংশ মুনাফায় ১৪০ টাকায়। পাইকারিতে ব্যবসায়ীরা এক হাতে ওই দামে কিনে আরেক হাতে ২৫ শতাংশ বা ৩৫ টাকা মুনাফা রেখে বেচতে পারবেন।

খুচরা ব্যবসায়ীরা তা কিনে আনবেন ১৭৫ টাকায়। এরপর তিনি ৩০ শতাংশ হারে আরও ৫২ টাকা ৫০ পয়সা মুনাফা করতে পারবেন।

অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্য হয়ে গেল ২২৭ টাকা ৫০ পয়সা।

তাজা ও শুকনা ফুল, ক্যকটাস, অর্কিড, পাতাবাহার ও একই রকম অন্য পণ্যেও এই হারে ‍মুনাফার সুযোগ রেখেছে সরকার।  

আদা, হলুদ, কাঁচা মরিচ ও অন্যান্য (ব্যাখ্যা নেই) পণ্যের পাশাপাশি পেঁয়াজ রসুনও দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রির সুযোগ আছে। উৎপাদক ৪০ শতাংশ, পাইকার ২০ শতাংশ আর খুচরা বিক্রেতা মুনাফা করতে পারবেন আরও ৩০ শতাংশ। ফলে উৎপাদন খরচ ১০০ টাকা হলে দোকানে বিক্রির সুযোগ আছে ২১৮ টাকায়।

আর ফলের ক্ষেত্রে উৎপাদক পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, পাইকারের ২০ শতাংশ এবং খুচরা বিক্রেতার আরও ৩০ শতাংশ মুনাফা মিলিয়ে ১০০ টাকার পণ্য ২০২ টাকায় বিক্রির সুযোগ আছে।

তেলে মুনাফা কত

রাই, সরিষা, তিল, তিসি, বাদাম, নারকেল, সূর্যমুখী, সয়াবিন ও অন্যান্য তেলে উৎপাদক ৩০ শতাংশ মুনাফা করতে পারবেন। এরপর পাইকারি পর্যায়ে আরও ১৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে আরও ৩০ শতাংশ মুনাফাকে যৌক্তিক ভাবছে সরকার।

অর্থাৎ ১০০ টাকা যদি উৎপাদন খরচ হয়, তাহলে কোম্পানি তা ডিলারদের কাছে ১৩০ টাকায়, ডিলার ১৫ শতাংশ মুনাফায় তা বিক্রি করতে পারবেন ১৫৯ টাকা ৫০ পয়সায়। এরপর খুচরা বিক্রেতা আরও ৩০ শতাংশ হারে সেই তেল বিক্রি করতে পারবেন ১৯৪ টাকায়।

চিনির মুনাফা বেঁধে দেওয়া না হলেও গুড়ের মুনাফার কথা উল্লেখ আছে বিধিতে। এ ক্ষেত্রে উৎপাদন ৩৫ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে আরও ৩০ শতাংশ মুনাফা করা যাবে। অর্থাৎ ১০০ টাকা উৎপাদন খরচ হলে বিক্রি করা যাবে ২০১ টাকা পর্যন্ত দামে।

ডাল, মাছ, ডিমের কী চিত্র

তাজা, শুকনো ও হিমায়িত- সব ধরনের মাছেই মুনাফার সর্বোচ্চ হার একই। এ ক্ষেত্রে উৎপাদক পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, পাইকারিতে ১৫ শতাংশ এবং খুচরায় আরও ২৫ শতাংশ মুনাফার সুযোগ রাখা হয়েছে।

এভাবে ১০০ টাকা উৎপাদন খরচ হলে সেটি বিক্রি করা যাবে ১৮৬ টাকায়।

গত এক বছর ধরে তুমুল আলোচিত পণ্য ডিম এবং দুধের ক্ষেত্রেও মুনাফার হার এক। ডাব, নারকেল, সুপারি, পান এবং গবাদি পশুর খাবার ভুসির মত পণ্যও উৎপাদন খরচের প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রির সুযোগ রেখেছে সরকার।

ডাল, বেসন, সেমাই, ফলের রস, চিপসের মত পণ্যের উৎপাদন খরচ ১০০ টাকা হলে ১৮৬ টাকায় বিক্রির সুযোগ আছে।

‘মুনাফার হার অবশ্যই বেশি’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান বলছেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর যাকে মুনাফার যৌক্তিক হার বলছে, সেটা অবশ্যই ‘বেশি’।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কৃষক পর্যায়ে ৩০ শতাংশ মুনাফা ঠিক আছে। কিন্তু পাইকারিতে ১৫ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি মুনাফার কেনো মানে হয় না। সেখানে কেজিপ্রতি এক টাকাই তো অনেক। কারণ, পাইকারি পর্যায়ে তো বিপুল পরিমাণ কেনাবেচা হয়। আবার খুচরাতেও ২৫ শতাংশ মুনাফা হতে পারে না। সেখানেও যৌক্তিক হতে পারত কয়েক টাকা।”

আক্তারুজ্জামানের দৃষ্টিতে ‘উচ্চ হারে’ মুনাফার সুযোগ করে দেওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা আরও বেশি লাভের চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, “সরকার বলেছে ২৫ শতাংশ মুনাফা করতে পারবে, কিন্তু সে আসলে চেষ্টা করবে ৪০ শতাংশ করার। কারণ এই বাজারে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। কিন্তু সরকার যদি ৫ শতাংশ ঠিক করে দিত, তাহলে বেশি হলেও সে হয়ত বেশি নিত ১০ শতাংশ।”

কৃষি অর্থনীতির এই শিক্ষক বলেন, “ব্যবসা পর্যায়ে অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ করে দেওয়ার কারণেই দেখা যায় কৃষক করলা বিক্রি করছে ৩০ টাকা করে আর সেটা ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। কৃষক ৬০ টাকা বেচলে সেটা ঢাকায় ৮০ টাকা হলে মানা যেত।”

জাপান থেকে কৃষি অর্থনীতি নিয়ে পিএইচডি গবেষণা করে আসা এই অধ্যাপক জানালেন সেদেশে কীভাবে কৃষিপণ্যের বাজারে স্থিতিশীল রাখা হয়।

তিনি বলেন, সেখানে বাজারে প্রধান ‘খেলোয়াড়’ হল সমবায় সমিতি। এই সমিতির মাধ্যমে কৃষকদেরকে ভর্তুকি মূল্যে উপকরণ দেওয়া হয়। আর উৎপাদিত ফসলের ৭০ শতাংশ এই সমিতি কিনে নিয়ে তারাই বাজারজাত করে।

বাকি ৩০ শতাংশ অন্যরা বাজারজাত করে। কিন্তু সমবায় সমিতি বেশিরভাগ পণ্য বাজারজাত করায় এই ৩০ শতাংশের পক্ষেও মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা করা সম্ভব হয় না।

এই কৃষি অর্থনীতিবিদের মতে, বাংলাদেশে কয়েকটি কাজ করতে হবে। প্রথমত, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকেই কৃষি পণ্য কিনতে হবে। দ্বিতীয়ত, কৃষিপণ্য সংরক্ষণে অবকাঠামো তৈরি করতে হবে, তৃতীয়ত, কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করে একটি নতুন নীতিমালা করতে হবে। সেখানে মুনাফার সর্বোচ্চ হারকে সত্যি সত্যি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। তাহলেই ভোক্তারা কিছুটা কম মূল্যে পণ্য পাবে।

সরকার কী বলছে

উৎপাদন খরচের দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি দরে পণ্য বিক্রির সুযোগ করে দেওয়ার যৌক্তিকতা বুঝতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আগে থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার দুই দিন আগে কৃষি বিপণন বিভাগে গেলে জানানো হয়, পেতে ঈদের পর দেখা করতে হবে। এমনকি একদিন দেখা করতে সুনির্দিষ্ট সময়ও দেওয়া হয়।

ছুটি শেষে বেশ কয়েকবার তার দপ্তরে ফোন করা হলে বলা হয়, তিনি বিভিন্ন মিটিংয়ে আছেন। এর মাঝে মহাপরিচালক বদলেছেন এমন তথ্যও জানানো হয়।

পরে সংস্থাটির বাজার সংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মজিবর রহমানের কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন রাখলে তিনি বলেন, “আরে নাহ, আপনি আন্দাজে ভুল দেখেছেন।”

তাহলে কতটুকু লাভের সুযোগ আছে জানতে চাইলে বলেন, “আপনি প্রথমে যেটা উল্লেখ করলেন ওইটা একদম কৃষক পর্যায় থেকে ভোক্তা পর্যন্ত যেতে এটুকু দাঁড়াবে। এখানে তিনটা লেয়ার কখনও না।”

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ বিধি ৪ এর দফা (ঙ) ও বিধি ১৭ এর দফা (ঘ) দ্রষ্টব্যের উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যুক্তিসঙ্গত শতকরা হারে মুনাফা ধার্য করে যৌক্তিক বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ সারণী তাকে পড়ে শোনালে তিনি বলেন, “এটা তো আমি করিনি, আর আমি এই শাখাতে এখন নেই।… এই আইনের ধারেকাছেও আমি ছিলাম না। এটার উত্তর দিতে দিতে আমি অস্থির। এখন আমার ডিজি (কৃষি বিপণন অধিদপ্তর) আমাকে বলেছেন, উইদাউট হিজ পারমিশন নেভার টক টু এনাদার পার্সন।”