বিদেশি মুদ্রায় আমদানি ও রপ্তানি দায় তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করতে আরটিজিএসে অন্তভূর্ক্ত হচ্ছে চীনা মুদ্রা ইউয়ান (সিএনআই)।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চাইনিজ ইউয়ানকে ব্যাংকিং লেনদেনের এ মাধ্যমে যুক্ত করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে আরটিজিএসে ছয় বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন করা যাবে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক বলেছে, ইউএস ডলার, ইউরো, জাপানি ইয়েন, যুক্তরাজ্যের পাউন্ড ও কানাডিয়ান ডলারের মতো বৈদেশিক চীনের মুদ্রা ইউয়ান আরটিজিএসে লেনদেন করতে পারবে।
এর আগে ২০১৮ সালের অগাস্টে এক নির্দেশনায় চীনের সঙ্গে লেনদেন সহজ করতে ইউয়ান দিয়ে সরাসরি আমদানি ও রপ্তানি দায় নিষ্পত্তির জন্য ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সাম্প্রতিক সময়ে ডলার সংকট তীব্র হলে বৈদেশিক বাণিজ্যে বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের আলোচনা জোরালো হয়ে উঠে। এরমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তে চীনের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে দেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইউয়ান লেনদেন করা আরও সহজ হবে।
বিডি আরটিজিএস (বাংলাদেশ রিয়েলটাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) ২০১৫ সালে চালু হওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত লেনদেন ব্যবস্থা। দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকের দশ হাজার ৮১০টি শাখা যুক্ত আছে এ ব্যবস্থায়।
এ মাধ্যমে এক ব্যাংকের গ্রাহক আরেক ব্যাংকে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের মধ্যে অর্থ লেনদেন করতে পারেন। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে আমদানি করা পণ্যর শুল্ক পরিশোধও করা যায়।
কোনো ঊর্ধসীমা না থাকলেও সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা লেনদেন করা যায় আরটিজিএস ব্যবহার করে। প্রতিটি লেনদেনে ব্যাংকগুলো একশত টাকা সেবা ফি কেটে নেয় এর বিপরীতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আট হাজার শাখা আরটিজিএসে সংযুক্ত রয়েছে।