সংগঠনটি বলেছে, নতুন শুল্ক নীতি থেকে ছাড় পাওয়া বা শুল্ক কমানোর চেষ্টা করতে সরকারকে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে।
Published : 07 Apr 2025, 09:44 PM
বাণিজ্য শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা পেতে সরকারকে একটি টাক্সফোর্স গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্স–আইসিসি বাংলাদেশ।
সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষিত নতুন 'রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ প্ল্যান' ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও ভালো বাণিজ্য শর্ত আদায় করতে হবে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘লাভজনক একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি টাক্সফোর্স গঠন করার পরামর্শ দিয়ে সংগঠনটি বলেছে, নতুন শুল্ক নীতি থেকে ছাড় পাওয়া বা শুল্ক কমানোর চেষ্টা করতে সরকারকে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে।
টাস্কফোর্সে শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক, আমদানিকারক, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, কাস্টমস বিভাগের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত রাখার পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের মুখোমুখি হবে। এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ, যা এখন বেড়ে হল মোট ৫২ শতাংশ।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যার মধ্যে তৈরি পোশাকের পারিমাণ ৭৩৪ কোটি ডলার।
নতুন করে সম্পূরক শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সরকারের উপদেষ্টা, বিশেষজ্ঞসহ অংশীজনদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে রোববার অর্থমন্ত্রণালয়ে আরেকটি জরুরি সভা হয়।
সরকারের দ্রুত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস খুব দ্রুত একটি জরুরি বৈঠক ডেকে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং করণীয় নির্ধারণে উদ্যোগ নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধিকে সরকার প্রধান উপদেষ্টার ও বাণিজ্য উপদেষ্টার পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা প্রশংসনীয়।”
আইসিসি বাংলাদেশ বলেছে, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের অবকাঠামো, পরিবহন ব্যবস্থা এবং বন্দর কার্যক্রম আরও আধুনিক ও দক্ষ করতে হবে।