পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি, দুর্বল বাজার ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে কাঁচাপণ্যের দামে বড় ফারাক তৈরি হচ্ছে বলে মনে করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
সংগঠনের সহ-সভাপতি আমিন হেলালী বলেছেন, “মাছ, মাংস, শাকসবজিসহ কাঁচাপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য নিরূপণ করা প্রয়োজন। সারাদেশে কতগুলো আড়ৎ, মোকাম এবং কৃষি ভাণ্ডার রয়েছে তার তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। দৈনিক চাহিদা এবং উৎপাদনের সঠিক তথ্য নিরূপণের মাধ্যমে বাজার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।”
মঙ্গলবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি অন কাঁচামাল আড়তদার, মার্কেটিং অ্যান্ড সাপ্লায়ার্সের’ প্রথম সভায় তিনি এ কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কৃষক থেকে আড়ৎ পর্যন্ত পৌঁছাতে অন্তত ৩০ শতাংশ পণ্য নষ্ট হয় বলে সভায় সদস্যরা জানান। তারা পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে সড়কপথে চাঁদাবাজিকেও অন্যতম কারণ হিসাবে তুলে ধরেন।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, “কাঁচাপণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির শিকার হয়ে ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে প্রায়ই অভিযোগ করেন। ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”
পাশাপাশি আড়ৎ এবং বাজারগুলোতে অসাধু প্রতিযোগিতা এবং চাঁদাবাজি রোধে বাজার কমিটিগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
উন্নত বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে নগরীতে গড়ে ওঠা নতুন নতুন আবাসন প্রকল্পগুলোতে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বাজার স্থাপনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং আবাসন ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
সভায় কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি এমরান মাস্টার বলেন, “পচনশীল পণ্য সংরক্ষণে রাজধানীসহ সারাদেশে পর্যাপ্ত ওয়্যারহাউজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। কন্ট্রোলড অ্যাটমোস্ফিয়ার বা তাপমাত্রা ও আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ সুবিধা সম্পন্ন স্টোরেজ গড়ে তোলা গেলে অনেক পণ্যই নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।”
বৈঠকে এফবিসিসিআই পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভরসা, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, আবু মোতালেব, ইকবাল শাহরিয়ার, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মাহবুব ইসলাম রুনু উপস্থিত ছিলেন।