২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদে দায়িত্ব পেয়েছিলেন মতিউর রহমান।
Published : 24 Jun 2024, 07:10 PM
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পদ হারানোর পর রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদ থেকেও বাদ পড়লেন ‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান।
সোমবার ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক আদেশে মতিউরকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলা হয়।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে সরকার মনোনীত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনার মধ্যে রোববার তাকে এনবিআরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আদেশে বলা হয়, “ড. মো. মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক পদ হতে অপসারণের সুপারিশসহ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কর্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করা হল।”
২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদে দায়িত্ব পেয়েছিলেন মতিউর রহমান। তার অপসারণের আদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কার্যালয়েও পাঠানো হয়েছে।
কোরবানির ঈদের আগে মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার খবর প্রকাশ্যে এলে সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। ইফাত জানান, তার বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি মো. মতিউর রহমান।
তখন ছাগলসহ ইফাতের ছবি জুড়ে দিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তোলেন- ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ছাগল কেনার অর্থের উৎস কী? একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলের বিপুল ব্যয়ে কোরবানির পশু কেনার সামর্থ্য হল কী করে?
মতিউর রহমান দাবি করেন, ইফাত নামে কেউ তার ছেলে বা আত্মীয় নয়, এমন নামে কাউকে তিনি চেনেন না। তার একটিই ছেলে, তার নাম তৌফিকুর রহমান।
পরে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দাবি করেন, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। ইফাত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের (স্ত্রীর) ছেলে।
মতিউর রহমান এর আগে ব্রাসেলসে বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলের, চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার, ভ্যাট কমিশনারসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। অনুসন্ধান কর্মকর্তার আবেদনে আদালত মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ এবং ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।