আগামী মাসে দাম বাড়বে নাকি কমবে– সেই প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রীর জবাব, “এখন বলা যাচ্ছে না।”
Published : 20 Feb 2024, 09:22 PM
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দিষ্ট সময় পর পর স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে মার্চ থেকে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মঙ্গলবার তার দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম নিয়মিত ওঠানামা করলেও বাংলাদেশে দামের পরিবর্তন হয় সরকারের সিদ্ধান্তে দীর্ঘ সময় পর পর। তাতে কখনও ভোক্তা, আবার কখনও সরকারি সংস্থা বিপিসি লোকসানের মুখে পড়ে।
জ্বালানি তেলের দামে পরিবর্তন এলে যানবাহন, দ্রব্যমূল্যসহ জনজীবনের সর্বত্র প্রভাব পড়ে। দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশেও বাড়ানোর তোড়জোড় হয়, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে কমলে তার সুফল দেশের সাধারণ ভোক্তারা পায় না।
লাভ কিংবা লোকসানের পথে না হেঁটে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের কথা সরকারের তরফ থেকে প্রায় এক বছর ধরে বলা হচ্ছে। সেটা কীভাবে করা হবে, সম্প্রতি তা চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য রেখেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আগামী মার্চ থেকে দেশে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ শুরু হবে। সেখানে ট্যারিফ, ইনভয়েসসহ অনেকগুলো সূচক বা ফ্যাক্টর ঠিক করা হয়েছে।”
তাতে আগামী মাসে দাম বাড়বে নাকি কমবে– সেই প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এখন বলা যাচ্ছে না। ট্যারিফ ধরে হিসাব করলে দাম কিছুটা বাড়ে। আবার ইনভয়েস হিসাব করলে বাড়ার কথা না।”
সরকার সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করে। সে অনুযায়ী, এখন ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ৭৯ ডলার থেকে ৮৩ ডলারের মধ্যে বেচাকেনা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন...