গতবছর কোরবানির ঈদে রাজধানীতে কাঁচা চামড়ার সবচেয়ে বড় আড়ত পোস্তায় যে চামড়ার দর উঠেছিল ৮০০ টাকা, সেই আকৃতির চামড়া এবার খুচরা পর্যায়েই প্রথম দফায় বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ টাকায়।
Published : 30 Jun 2023, 01:31 AM
দিনভর বৃষ্টিতে কোরবানির পশুর চামড়া নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকলেও দুপুরের পর আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভালো হতে থাকায় তৎপর হয়ে উঠেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টি কমে আসায় ভালো দাম দিয়েই তারা সংগ্রহ করছেন পশুর চামড়া।
দুপুরের পর রাজধানীর গুলশান-২ চত্বরে চৌকি বসিয়ে কাঁচা চামড়া নিয়ে বসেছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে আকার ভেদে ৭০০ টাকা থেকে ১০৫০ টাকা দিয়ে প্রতিটি চামড়া কেনেন তারা।
গতবছর কোরবানির ঈদে রাজধানীতে কাঁচা চামড়ার সবচেয়ে বড় আড়ত পোস্তায় যে চামড়ার দর উঠেছিল ৮০০ টাকা, সেই আকৃতির চামড়া এবার খুচরা পর্যায়েই প্রথম দফায় বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ টাকায়। এরপর তা হাতবদল হয়ে পোস্তার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ট্যানারিতে বিক্রি হবে।
এবছর সরকার ট্যানারি ব্যবসায়ীদের জন্য ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। গতবছর এই দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা।
এছাড়া ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারিত হয়েছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, গতবছর যা ৪০ থেকে ৪৪ টাকা ছিল।
এছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া গত বছরের মতই প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বৃহস্পতিবার ঈদের নামাজ শেষে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পশু কোরবানি দেন বাংলাদেশের মুসলমানরা। অনেকে ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও পশু জবাই করবেন।
ভোর থেকে থেমে থেমে চলা বৃষ্টি শেষ বিকালে বিরতি দেয়। ভেজা চামড়া দ্রুত নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকায় বৃষ্টি বন্ধের ফাঁকে যতটা বেশি সম্ভব কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ীরা।
গুলশান, বনানী, বনশ্রী, বাড্ডা এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসায় দান করা ও মৌসুমি ব্যাবসায়ীদের সংগ্রহ করা পশুর কাঁচা চামড়া গুলশান-২ চত্বরে জমা হয় বিক্রির জন্য।
ফড়িয়া, মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ট্যানারির প্রতিনিধিরা এখানে জড়ো হন চামড়া সংগ্রহে। অস্থায়ী এই বাজারটি চলে দুপুরের পর থেকে রাত অবধি।
দুপুরের পর এই বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভ্যান গাড়ি বা ট্র্যাকে চেপে যারাই চামড়া আসার পর প্রতিযোগিতায় মেতে উঠছেন ব্যবসায়ীরা; অনেকটা কাড়াকাড়ির মতো অবস্থা।
৬০টি বিভিন্ন আকারের চামড়া ছোট একটি ট্রাকে করে আফজাল হোসেন হাজির হওয়া মাত্রই সব ব্যবসায়ী দর-দাম শুরু করে দেন।
দর মনঃপুত না হওয়ায় আফজাল হোসেন চলে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়ামাত্রই এমআই ট্যানারির প্রতিনিধি হাশেম মিয়া গতিরোধ করেন। সবশেষ গড়ে ৯০০ টাকায় প্রতিটি চামড়ার দর মিটিয়ে কিনে নেন তিনি। কেনা চামড়া ট্রাকে উঠিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছেন সাভারের ট্যানারিতে।
চামড়া সংগ্রহ করতে গুলশানে এসেছেন তাসাদ্দেক হোসেন সেন্টু। গতবার তিন হাজার চামড়া সংগ্রহকারী এই ব্যবসায়ীর লক্ষ্য এবার তার চেয়েও বেশি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বেঙ্গলসহ তিনটি ট্যানারির সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দর নিয়েই চামড়া কিনছি। চামড়া কেনা শেষে ফের তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। যে বেশি দর দিবে চামড়া তাকেই দিব।”
বাড্ডার দারুল কাশেম ইসলামীয়া মাদ্রাসায় জমা হয়েছে প্রায় শ’খানেক চামড়া। প্রথম ধাপে ৩০টি চামড়া নিয়ে গুলশান-২ থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার সময়ে পথেই গতিরোধ করেন এমআই ট্যানারির প্রতিনিধিরা। অনেকটা জোর করেই চামড়া রেখে দেন তারা। অবশ্য দরদাম করে মাদ্রাসাশিক্ষক নাসির উদ্দিনের সঙ্গে মিটমাট করেন প্রতি চামড়া ৮৫০ টাকায়।
গতবারের চেয়ে এবার চামড়ার দর একটু বৃদ্ধিতে স্বস্তির কথা জানিয়ে মাদ্রাসাশিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, “আগের বারের চেয়ে দাম একটু বেশি পাচিছ। আমরা চেষ্টা করি যতটা বেশি দাম নেওয়া যায়। এ টাকা তো গরিবের হক, মাদ্রাসার ছাত্রদের পেছনেই খরচ হয়। সওয়াবের আশায় সকাল থেকে মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে অনবরত দৌড়ঝাঁপ করেছি।”
গুলশান, বনানী, বাড্ডা ও বনশ্রীর মাদ্রাসাগুলোর বড় একটি অংশ তাদের সংগ্রহ করা চামড়া জড়ো করেন গুলশান সেন্ট্রাল জামে মসজিদ (আজাদ মসজিদ) এর ময়দানে। যাত্রাবাড়ী বড় মাদ্রাসার নামে দান করা কাঁচা চামড়াও জমা হতে দেখা গেছে সেখানে।
বাড্ডার দারুল কাশেম ইসলামীয়া মাদ্রাসায় দান করা চামড়াসহ বিভিন্ন মাদ্রাসার চামড়াও এখানে জমা হয়।
সন্ধ্যার পরে মৌসুমী ব্যবসায়ী বা ট্যানারির প্রতিনিধিরা এখান থেকে দরদাম করে চামড়া কিনে নেবেন বলে জানিয়েছেন চামড়া তদারকিতে ব্যস্ত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
চামড়ার দাম বেশি জেনেও কিনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন। গতবার দুই হাজার ৮০০ চামড়া কিনে বিভিন্ন ট্যানারিতে সরবরাহ করেছেন তিনি। এবারও তিন হাজারের বেশি চামড়া ক্রয়ের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন।
আক্তার হোসেন বলেন, “গুলশান এলাকায় বড় গরু জবাই হয় বেশি, তাই দাম একটু বেশি হবেই। অন্যান্য চামড়ার সঙ্গে এসব চামড়া মিশিয়ে গড় দাম ঠিক করে বেচে দিব ট্যানারি বা পোস্তায়।”
কাঁচা চামড়া সংগ্রহের সবচেয়ে বড় আড়ত ঢাকার লালবাগের পোস্তায় চলে যাবে এসব চামড়া। সেখানেই আড়তদাররা লবণ মিশিয়ে সংরক্ষণের উপযোগী করবেন। পোস্তার আড়ত থেকে একমাস বা ততোধিক সময় পর লবণযুক্ত চামড়া চলে যাবে ট্যানারি মালিকদের কাছে।
সরকারি হিসাবে গত বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল এক কোটি ২১ লাখ। এর বিপরীতে কোরবানির সময়ে পশু জবাই হয়েছে ৯৯ লাখ।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কোরবানিযোগ্য পশু ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এর মধ্যে ৪৮ লাখের বেশি গরু এবং মহিষ। অন্যদিকে চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। সবমিলিয়ে কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকবে ২১ লাখের বেশি।
চট্টগ্রামে দাম কম, চামড়াও কম
বন্দর নগরীতে ঈদের দিন সকালে পশু কোরবানির পর মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা চামড়া সংগ্রহ করে দুপুরের দিকে নিয়ে আসেন আগ্রাবাদ চৌমুহনী এলাকায়।
এবছর চৌমুহনীতে সেই চিরচেনা দৃশ্যপট অনেকটা পাল্টে গেছে। আগে পুরো সড়কের দুই পাশে চামড়া নিয়ে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় থাকতেন আড়তদারদের জন্য। এবছর হাতেগোনা কয়েকজন মৌসুমী ব্যবসায়ীকে দেখা গেছে সেখানে চামড়া নিয়ে অবস্থান করছেন।
দীর্ঘদিন ধরে চামড়ার ব্যবসায় যুক্ত মো. ইয়াছিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাসা বাড়িতে থেকে চামড়া সংগ্রহ করছেন গাউসিয়া কমিটির সদস্যরা। আবার চামড়ার দাম কম হওয়ায় অনেকেই সংগ্রহ করছেন না। যার কারণে আগে যেভাবে চৌমুহনীতে চামড়া আসত এবছর তা আসছে না।
আগের মতো এ ‘লাভ’ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আগে ১২০০-১৫০০ টাকায় আমরা একটি চামড়া কিনতাম। পরে আড়তদারদের কাছে বিক্রি করতাম আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায়।
“এখন ওইসব চামড়া কেনা হয় ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। আর শ’খানেক টাকা লাভে আড়তদারের কাছে আমরা বিক্রি করি।”
মো. নাছের নামের আরেকজন ব্যবসায়ী মনে করেন, এবছর আগেরবারের তুলনায় কম পশু কোরবানি হওয়ায় চামড়া কম সংগ্রহ হচ্ছে।
“এবছর গরুর দাম ছিল বেশি, কিন্তু চামড়ার দাম কম। লাখ টাকার গরুর চামড়া বেচাকেনা হয় ৩০০-৪০০ টাকায়। আর আড়াই তিন লাখের গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। যার কারণে অনেকেই চামড়া সংগ্রহ করছে না।”
ঈদ সামনে রেখে পশুর চামড়া সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার; ঢাকায় গরুর চামড়ার দাম গতবারের চেয়ে ৩ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪ টাকা বেড়েছে।
চৌমুহনী এলাকায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম জানান, আকার বুঝে ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা দরে তিনি চামড়া কিনছেন।
মাহবুবেরও ধারণা, এবার কোরবানি কম হওয়ায় চামড়ার সরবরাহও কম।
কাঁচা চামড়া আড়ৎদার সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন বলেন, গতবারের মতো এবারও মৌসুমী ব্যবসায়ীদের ‘বিশৃঙ্খলা’ নেই। গাউসিয়া কমিটি নিজেদের লোক দিয়ে চামড়া সংগ্রহ করে নিচ্ছেন। যার কারণে চামড়া নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার ব্যবসা করার সুযোগ নেই মৌসুমী ব্যবসায়ীদের।
তিনি জানান, এবার সাড়ে তিন লাখ চামড়া সংগ্রহের টার্গেট নিয়ে তারা নেমেছেন। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে তাদের আড়তে প্রায় ৪০ হাজারের মত চামড়া পৌঁছেছে। তার বাইরে গাউসিয়া কমিটি সুন্নীয়া মাদ্রাসা মাঠে আলাদা করে চামড়া সংগ্রহ করছে।
মুরাদপুর সুন্নীয় মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের স্বেচ্ছাসেবীরা ট্রাক, পিকআপে করে চামড়া নিয়ে আসছেন। চামড়াগুলো মাঠে তৈরি করা প্যান্ডেলে রেখে শ্রমিকরা লবণ লাগিয়ে ভাঁজ করে রাখছেন।
আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহম্মদিয়া সুন্নীয়া ট্রাস্টের অধীনে দেশে পরিচালিত হয় দুই শতাধিক সুন্নীয়া মাদ্রাসা। এ ট্রাস্টের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গাউসিয়া কমিটি।
গতবছর থেকে গাউসিয়া কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গিয়ে চামড়া সংগ্রহের কাজ শুরু করে। পরে সেগুলো আড়তদারদের কাছে বিক্রি করেন।
গাউসিয়া কমিটি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, গত বছর তারা প্রায় এক লাখ চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন। এ বছর তারা দেড় লাখ চামড়া সংগ্রহের টার্গেট করেছেন।
তিনি জানান, নগরীর ১৬টি থানার অধীনে তাদের ৪৯টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও ৫৩৭টি ইউনিট আছে। যেগুলোর প্রায় পাঁচ হাজারকর্মী বিভিন্ন বাসা বাড়িতে গিয়ে চামড়া সংগ্রহ করেছেন।
উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে আলাদা করে চামড়া সংগ্রহ করছেন তাদের স্বেচ্ছাসেবীরা।
আব্দুল্লাহ জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা চামড়াগুলো মুরাদপুর সুন্নীয়া মাদ্রাসায় ও উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা চামড়াগুলো রাউজান উপজেলায় এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা চামড়াগুলো চন্দনাইশ উপজেলায় সংগ্রহ করা হচ্ছে।
চামড়া সংগ্রহের জন্য মহানগরীতে ১০০টি ও উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৫০টি করে আরও ১০০টি গাড়ি তাদের চামড়া সংগ্রহের কাজে যুক্ত আছে জানিয়ে আব্দুল্লাহ জানান, কোনো চামড়া যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য তারা একটি হটলাইন নম্বর চালু করেছেন।
কেউ চামড়ার কথা জানালেই তাদের স্বেচ্ছাসেবীরা গিয়ে চামড়াগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছেন।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়ৎদার ব্যবসায় সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুব আলমের ধারণা এবছর আগেরবারের তুলনায় অন্তত ৩০ শতাংশ পশু কোরবানি কম হয়েছে।
তিনি বলেন, “এবছর গরু ছাগল দুইটির দামই বেশি ছিল। যার কারণে অনেকেই বাজারে গিয়ে গরু কিনতে পারেনি। আবার ছোট গরুর চাহিদা বেশি ছিল, সে গরুগুলোর দাম বড় গরুর তুলনায় বেশি ছিল।”
গাউসিয়া কমিটির চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহর ধারণাও মাহবুব আলমের মতো।
আব্দুল্লাহ বলেন, এ বছর গতবারের তুলনায় গরুর দাম বেশি। যার কারণে অনেকেই আগে একা কোরবানি দিলেও এবছর শরীকে কোরবানি দিয়েছেন। যার কারণে মোট পশু কোরবানির সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে।