মানসিক সুস্থতার সঙ্গে রঙের রয়েছে গভীর সম্পর্ক।
Published : 10 Oct 2023, 07:04 PM
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ফেইসবুক রঙিন করে তোলার ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে বার্জার পেইন্ট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে পরিচিত ব্যক্তিদের প্রোফাইল ও কভার ফটো বদলে একই রঙে রঙ্নি করে তোলার বিষয়টি অনেকের মাঝেই কৌতূহল তৈরি করেছে।
ফেইসবুক জুড়ে হঠাৎ করে সোমবার সকাল থেকে ছড়িয়ে পড়া এসব ছবি দিয়ে দৃষ্টি কাড়ার বিশেষ এ উদ্যোগের কারণ হিসেবে বার্জার মানসিক স্বাস্থ্য ও রংয়ের বন্ধনের কথা বলছে। এতে শ্লোগান ছিল- ‘হিল ইউর মাইন্ডস উইথ কালার’।
১৯৯২ সাল থেকে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয় ১০ অক্টোবর। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয় দিবসটি। এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সার্বজনীন মানবাধিকার’।
রং খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডটি বলছে, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ব্র্যান্ডটি ডিজিটাল মিডিয়ায় দারুণ আলোচনা সৃষ্টি করেছে। বার্জার পেইন্টসের উদ্যোগে সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার এবং সাধারণ ব্যবহারকারীরা তাদের প্রোফাইল ও কভার ফটোগুলোকে উজ্জ্বল একরঙা ছবিতে রাঙিয়েছেন। এটি মূলত বার্জারের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ক্যাম্পেইন, যা সফলভাবে নেটিজেনদের মাঝে আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। গুণগত মানের পণ্য তৈরি ও বিপণণ করে আবাসন খাতে ভূমিকা রাখা পেইন্ট ব্র্যান্ডটি সামাজিক কল্যাণমূলক নানা কর্মকাণ্ডও চালিয়ে থাকে।
রং ও মনোবিজ্ঞান
ব্যতিক্রমী এ প্রচারণার কারণ হিসেবে বার্জার পেইন্টস বলছে, এটি শুধুই আলোচনা সৃষ্টির জন্য নয়, এর পেছনে রয়েছে মনোবিজ্ঞান।
“আমাদের মানসিক সুস্থতার সাথে রঙের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। একেক রং আমাদের মনের উপর একেক ধরনের প্রভাব ফেলে। যেমন নীল এবং সবুজ প্রশান্তির অনুভূতি জাগায়, আবার লাল তৈরি করে উদ্দীপনা। রং এবং মানবিক অনুভূতির এই অন্তর্নিহিত সম্পর্ককে ব্যবহার করে বার্জার পেইন্টস এই অনলাইন ক্যাম্পেইনটি ডিজাইন করেছে।”
রং ও মানসিক সুস্থতা
এ উদ্যোগের মাধ্যমে বার্জার মূলত রঙের ‘থেরাপিউটিক’ সম্ভাবনার উপর আলোকপাত করেছে। ব্র্যান্ডটি বলছে, চারপাশের বিভিন্ন রং ব্যবহার করে এমন পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব, যা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। ঘরের ইন্টেরিয়র হোক, পোশাক হোক বা রঙিন প্রাকৃতিক পরিবেশ- রং সবসময়ই ব্যক্তির মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে।
কোম্পানিটি বলছে, উদ্যোগটি শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগের ক্যানভাসে পরিণত করেনি, মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনাকেও উৎসাহিত করেছে।
এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি আবারও নিজেদের সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রমাণ দিয়েছে জানিয়ে বার্জার পেইন্টের আশা, শুধু ঘর নয়, প্রতিটি মানুষের মনও হয়ে উঠুক রঙিন ও প্রাণবন্ত।
ডিসক্লেইমারএটি একটি বিজ্ঞাপনী বার্তা; সংবাদ প্রতিবেদন নয়। এর কোনো কনটেন্টের দায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নয়।