কর ও শুল্ক হারের পরিবর্তনের কারণে কিছু পণ্য ও সেবার দাম কমতে যাচ্ছে।
Published : 05 Jun 2014, 07:35 PM
জটিল চিকিৎসা, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, স্টেশনারি দ্রব্যাদির দাম কমানোর প্রস্তাব আছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে।
যেসব পণ্য ও সেবার শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- বিভিন্ন ধরনের দেশি ওষুধ, ক্যানসারের ওষুধ, থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসার ইনফিউশন পাম্প, আয়ুর্বেদিক ওষুধ, ডায়াপার, সয়াবিন তেল, পাম তেল, সূর্যমুখী তেলসহ অন্যান্য ভোজ্য তেল, সকল প্রকার জন্ম নিয়ন্ত্রণ উপদান, সাধারণ বৈদ্যুতিক বাতি (ফিলামেন্ট ল্যাম্প) ও কিডনি ডায়ালেসিস সলিউশন।
প্রস্তাবিত বাজেটে ওষুধ শিল্পের ৪০টি মৌলিক কাঁচামালের ১০ ও ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ রেয়াতি হার ধার্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ক্যানসার চিকিৎসায় যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে ১৪টি ওষুধের কাঁচামালের শুল্কহার সম্পূর্ণ মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে।
একই প্রস্তাব করা হয়েছে থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসার ইউফিউশন পাম্পের বেলায়ও।
ভোজ্য তেলে ১৫ শতাংশের পরিবর্তে রেয়াতি হার ১০ শতাংশ ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এসব ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব রায় জনসাধারণের ব্যয় কমবে।
অন্যদিকে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, ছোলা, বুট, ডাল, আদা, হলুদ, মরিচ, চাল, গত, ভুট্টা, আটা, ময়দা, লবণ, ভোজ্যতেল ও চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্থানীয় এলসি বিপরীতে যে উৎসে কর কাটা হয় তা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া এসব পণ্যের কমিশনের ওপর কর হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন তিনি।
এছাড়া কাগজ, গ্লাস ও সিরামিক, রাবার, ফার্নিচার, রং, ইলেকট্রিক্যাল ও প্লাস্টিক শিল্পের ব্যবহার্য শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া ইন্টারনেট সংযোগ ও মেডিটেশন সেবা সস্তা হবে। কারণ মাল্টিফ্লেক্সার ও গ্রান্ডমাস্টার ক্লকের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে, আর মেডিটেশন সেবার মূসক প্রত্যাহার করা হয়েছে।