পাড়া-মহল্লা ঘুরে ঘুরে ২৫ বছর ধরে ভ্যানগাড়িতে তরকারি বিক্রি করেন মাসুদ রানা।
রাজশাহী শহরের লক্ষীপুর, নিউ মার্কেট, কাদিরগঞ্জ, উপশহর এলাকায় নিয়মিত সবজি ফেরি করেন তিনি।
আলু, বেগুন, ঝিঙা, পটল, কাঁচা মরিচ, ধনিয়া পাতা, লাল শাক, শসা, কুমড়া, লাউ কিনে আনেন শহরের পাইকারি আড়ত থেকে।
৩০ টাকায় পুঁইশাক থেকে শুরু করে দুইশ টাকায় টমেটো মিলবে তার কাছে। মৌসুমি ফল তাল বিক্রি করছেন প্রতিটি ৬০ টাকায়।
মাসুদ রানার ভ্যানগাড়িতে সজনে ডাটার কেজি ১৬০ টাকা।
তবে সবকিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শাকসবজির দামও বাড়তে থাকায় ব্যবসার ’এখন বেহাল দশা’ বলে জানালেন মাসুদ রানা।
ছয় মাস আগে প্রতিদিন পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতেন এই ফেরিওয়ালা।
মাসুদ রানা বলেন, ”ভ্যানগাড়িতে সবজি বেচে এখন মাসে সেই আয় নেমে এসেছে তিন হাজার টাকায়।”
৪২ বছর বয়সী মাসুদ রানার বাড়ি চারঘাট উপজেলার ধর্মতলা গ্রামে। তার তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলেকে বিয়ে দিয়েছেন।ছোট ছেলে পড়ছে রাজশাহী মসজিদ মিশন একাডেমিতে এইচএসসিতে। আর ছোট মেয়ে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে।
এক সময় আমের ব্যবসাও করেছেন এই ফেরিওয়ালা।
তিনি সন্তানের বাবা মাসুদ সবজি বিক্রির জন্য ঘুম থেকে ওঠেন রাত তিনটায়। দেড় ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে ভোরে এসে পাইকারি কাঁচামাল সংগ্রহ করেন আড়ত থেকে। সারাদিন বেচাকেনার পর বাড়ি ফেরেন সন্ধায়। কোনো দিন দেরি হলে থেকে যান শহরেই।
এতো পরিশ্রমের পরও সংসার চালাতে এখন চিন্তা মুক্ত হতে পারছেন না এই ফেরিওয়ালা।
আগে সকাল নয়টার মধ্যে ভ্যানগাড়ির অর্ধেক সবজি বিক্রি হয়ে যেত তার। এখন প্রায় সব সবজি রয়ে যাচ্ছে ।
সবজি বিক্রেতা মাসুদ রানা বলেন, “এক সময় সবজি কেনার জন্য এই ভ্যানগাড়ির চারপাশে মানুষের ভিড় থাকলেও এখন থাকে না।
”বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করাটা আমাদেরও জুলুম হচ্ছে। আগে যে ক্রেতা দুই কেজি সবজি কিনে নিত এখন এক কেজির বেশি নেয় না ।“
আপনার নিবন্ধিত ইমেইল থেকে অপ্রকাশিত লেখা (ইউনিকোডে)/ছবি/ভিডিও আকারে নাগরিক সংবাদ পাঠান citizen.journalism@bdnews24.com ঠিকানায়।
নিবন্ধিত নাগরিক সাংবাদিক হতে আপনার নাম (বাংলা ও ইংরেজিতে), ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইল আইডি এবং ছবি citizen.journalism@bdnews24.com ঠিকানায় ইমেইল করুন।