মহান স্বাধীনতার মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা!

নিতাই বাবু
Published : 22 March 2017, 07:28 PM
Updated : 22 March 2017, 07:28 PM

প্রতিবছর মার্চ মাস আসলেই আমার মনে পড়ে যায়, ১৯৭১ সালের সেই অগ্নিঝরা মার্চের কথা আর আমাদের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার কথা। আমি তখন খুবই ছোট ছিলাম, তবু এখনো আমার স্পষ্ট মনে আছে সেসময়ের সুখদুঃখের কথা। সেসব বলতে গেলে এখনো আমার দুচোখে জল এসে যায়। তবু বলতে হয়, লিখতে হয়, যারা ১৯৭১ সালের গণহত্যা আর আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মহান স্বাধীনতা দেখেনি তাদের জন্য।

আমার জন্ম নোয়াখালীর বজরা রেলস্টেশনের পশ্চিমে মাহাতাবপুর গ্রামে। আমরা ছিলাম চার বোন দুই-ভাইয়ের মধ্যে আমি ছিলাম সবার ছোট। আমার বাবা আর বড়দা চাকরি করতেন নারায়ণগঞ্জে। বাবা আর বড়দা'র চাকরির সুবাদে মায়ের সাথে মাঝেমাঝে আসা হতো নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন লক্ষ্মণখোলা সংলগ্ন আদর্শ কটন মিলে। আমাদের বাড়িটা ছিল মোটামুটি একটা বড়বাড়ির মতো। আমার বাপ-কাকারা ছিলো তিন-ভাই, আর বাবার জেঠাতো ভাই ছিলো দুইজন। এক বাড়ি হলেও সংসার আলাদা-আলাদা ভাবে যারযার মতো। আমাদের বাড়ির ঘরগুলো ছিলো মাটি দিয়ে তৈরি, সেই মাটি আনা হয়েছিল চাটগাঁও (চট্টগ্রাম) থেকে গহনা নৌকা করে। সেজন্য আমাদের বাড়িটাকে সবাই নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় 'মাইটগা দেলানওয়ালা বাড়ি' নামেই চিনতো-জানতো। আমার দুই কাকা আমাদের বাড়িতে থাকতো না, থাকতো যারযার ভাবে। একজন থাকতো চাঁদপুরে, অপরজন পার্বত্যচট্টগ্রামে। আমি একটু বুঝের হয়ে দেখেছি যে, আমার দুইজন কাকা-ই বাড়ির বাহিরে থাকে। বাড়িতে আসতো কোনো পূজাপার্বণ উপলক্ষে পরিবারপরিজন নিয়ে।

আমাদের গ্রামের আমার বয়সী সব ছেলেদের মধ্যে আমি ছিলাম একটু দুষ্টু টাইপের। যেকোনো খেলাধূলায়ও ছিলাম সবার আগে, সবার ওপরে। আমার বয়স যখন ৭/৮ বছর, তখন-ই আমাদের জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ৭-মার্চ ঢাকার রেসক্রস ময়দানে দিয়ে দিলেন স্বাধীনতার ডাক, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম । যার যাকিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে বললেন শত্রুর বিরুদ্ধে। এরপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা ২৫ মার্চ কালরাতে শুরু করে দেয় নির্বিচারে গণহত্যা। তখন আমি কেবলমাত্র তৃতীয় শ্রেণি পাস করে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া শুরু করেছি। সেই ১৯৭১ সালের গণহত্যার কথা এখনো মনে পড়লে শরীরে কাঁটা ধরে।


ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসররা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। এ হত্যাযজ্ঞে কতজন বাঙালি নিহত হন তা নির্ধারণে কোনো জরিপ পরিচালিত হয় নি; তবে মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার অব্যবহিত পরের এক হিসাব অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ ধরা হয়। পাকিস্তান বাহিনী কর্তৃক এই গণহত্যা ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ডের অন্যতম। ইতিমধ্যে এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর সারাদেশে ২৫ মার্চকে 'গণহত্যা দিবস' হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ কালরাতে গণহত্যার শুরু হওয়ার সময় আমার বাবা আর বড়দা নারায়ণগঞ্জে, মা' আর আমার তিন বোন সহ থাকি বাড়িতে। স্বামী সন্তানের চিন্তায় মা পাগলের মতো হয়ে ঘুরে বেড়ায় গ্রামের বড়বাড়িতে রেডিওর খবর শোনার জন্য। তখন আমাদের গ্রামে শুধু বড়বাড়িতেই একটা ওয়ান বেন্ডের রেডিও ছিল, টেলিভিশন'তো কি জিনিস তা মানুষ বুঝতো-ই না। গ্রামের মানুষের মনে তখন শুধু আতঙ্ক আর ভয়, কখন যেন শুরু হয়ে যাবে জ্বালাও পোড়াও। এদিকে পাক-হানাদার বাহিনী সারাদেশ রক্তাক্ত করে ফেলছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে খবরও আসতে লাগলো। আমার মায়ের কান্না আরও ভারী হতে শুরু করলো স্বামী আর সন্তানের জন্য। সেসময় আমার তিনবোন ছিল বিয়ের উপযুক্ত, তাদের নিয়েও মায়ের আরও চিন্ত। সারাদিন আমার বোনদের চোখেচোখে রাখলেও রাতে রাখতো ঘরে কাঁড়ের ওপরে, পাকিস্তানি মিলিটারি আর দেশীয় রাজাকারদের ভয়ে।

এভাবে চলতে-চলতে কেটে গেল প্রায় দুইমাস, এরপর হঠাৎ একদিন বাবার আগমন। ঠিক সকালবেলা সবার অজান্তে বাবা বাড়িতে এসে হাজির, ক্লান্ত শরীর আর পঢ়নে ময়লা জামাকাপড়ে। বাবাকে দেখে আমার তিনবোন আর আমি খুশিতে দৌড়ে গিয়ে বাবাকে ঝাপটে ধরলাম। কিন্তু আমার মা' তেমন খুশি হতে পারেনি বড়ছেলেকে সাথে না-দেখে। আমার মা' আমার বাবাকে বলছে, আমার নিমাই কোথায়? মায়ের কথা শুনে বাবার কোনো কথা নাই, যেন বোবা হয়ে গেছে। তখন বাড়ির সবাই বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, নিমাই কোথায়? বাবা শুধু এইটুকুই বললো যে, জানিনা। তবে শুনেছি ও-নাকি স্মরণার্থী হয়ে ভারত চলে গেছে। বাবার কথা শুনে তখন বাড়ির সবাই আমার মাকে সান্তনা দিচ্ছে, আর কান্নাকাটি না-করতে বারণ করছে। এদিকে বাবা নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছে একেবারে খালি হাতে বহু কষ্ট করে, সেথে দুইটি টাকাও আনতে পারে নাই। সংসারে পাঁচজন খানেওয়ালা, জামাকাপড় বাদ দিলেও খাওয়ার খরচ কম নয়। আমি দেখেছি, তখন আমার বাবার মনের অবস্থা। বাবা যেন পাগলের মতো হয়ে ঘুরে বেড়াতো গ্রামের বাড়িতে-বাড়িতে কাজের সন্ধানে। কিন্তু তখন আমার বাবাকে কাজ দিবে কে? সবারই একই অবস্থা, সবার মনে তখন শুধুই আতঙ্ক, কখন কি হয়ে যায়।

হয়েও-ছিল অনেক, রাতের-বেলায় দেখতাম, আমাদের 'বজরা রেলস্টেশনের' দোকানগুলিতে লাগানো আগুনের লেলিহান শিখা, আর সাদাকালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী। এসব দৃশ্য দেখে মনে হতো, হানাদার বাহিনী যেন আমাদের গ্রামের আশেপাশেই অবস্থান করছে। এসব দেখেদেখে রাত কাটাতাম মায়ের আঁচলতলে আর আমার বড়বোনদের ঘুমপাড়ানি মাসি-পিসীর গান শুনে। সকালবেলা শুনতাম, এই বাজারে আগুন দিয়েছে, ওই বাজারে আগুন দিয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের গ্রামের কিছু হিন্দু জায়গা-সম্পাতি ফেলে রেখে ভারত পাড়ি দিয়েছে, যাদের টাকাপয়সা আছে তারা। যারা গ্রাম ছাড়ছে, তারা মূলত দেশীয় রাজাকার বাহিনীর ভয়েই বেশি দিশেহারা হয়ে পালাচ্ছে, টাকাপয়সা আর সম্পাতি নয়, শুধু মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা করার জন্যে।


আমাদের দেশীয় মীরজাফর রাজাকার বাহিনী এতোই জঘন্য ছিল যে, ওদের সার্থের জন্য ওরা নিজেদের ঘনিষ্ঠ নিকটতম আত্মীয়স্বজনদের ওপর আঘাত করতেও দ্বিধা-বোধ করতো না। সেসময় পাক-হানাদার বাহিনীর অত্যাচার যেমন ছিল, তার চেয়ে বেশি ছিল আমাদের দেশে গড়ে ওঠা পাকিস্তানি দোসর, রাজাকার বাহিনীর অত্যাচার। তখন গ্রামের মানুষের মুখেমুখে শুধু শুনতাম, রাজাকার রাজাকার, রাজাকার কী? এবং কেমন তা-বুঝতামনা। রাজাকার কি আমাদের মতো মানুষ, না রূপকথা গল্পের দৈত্য-দানব তাও বুঝতামনা, শুধু রাজাকারের নাম শুনলেই ভয়ে কাঁপতাম। তারপর আস্তে-আস্তে জানলাম, বুঝলাম রাজাকার কী এবং কারা।

রাজাকার হলো ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক গঠিত একটি আধাসামরিক বাহিনী। এটি বাংলাদেশবিরোধী বাঙালি এবং উর্দুভাষী অবাঙালি অভিবাসীদের নিয়ে গঠিত হয়। অবরুদ্ধ বাংলাদেশে স্বাধীনতার জন্যে লড়াইরত মুক্তিবাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য ১৯৭১ সালের মে মাসে খুলনায় প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। খানজাহান আলী রোডে একটি আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন জামায়াতে ইসলামী কর্মী সমন্বয়ে জামায়াতে ইসলামীর পূর্ব পাকিস্তান শাখার সহকারী আমীর মাওলানা এ কে এম ইউসুফ প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। আরবী শব্দ রি'দাকার থেকে মূলত শব্দটির উৎপত্তি। এর আভিধানিক অর্থ স্বেচ্ছাসেবক। বর্তমানে বাংলা ভাষায় বিশ্বাসঘাতক বা মীর জাফরের প্রতিশব্দ হিসেবে রাজাকার শব্দটি প্রচলিত। ইতিমধ্যে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে কয়েকজনের ফাঁসিও হয়েছে, যা দেশের সব মানুষেরই জানা।

এসব দেশীয় মীরজাফর রাজাকার বাহিনী গঠন হওয়ার আগে থেকেই পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য মুক্তিবাহিনী তৈরি হয়ে গিয়েছিল, যা এখন ইতিহাস ঘেঁটেই জানা যায়। মুক্তিবাহিনী হলো ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া বাঙালি সেনা, ছাত্র ও সাধারণ জনতার সমন্বয়ে গঠিত একটি সামরিক বাহিনী। ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর ধীরে ধীরে সাধারণ বাঙ্গালীদের এই বাহিনী গড়ে উঠে। পরবর্তীতে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে পূর্ব পাকিস্থান সামরিক বাহিনীর সাবেক সদস্যরা "বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী" গঠন করেন এবং জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী সর্বাধিনায়ক পদ গ্রহণ করেন। এই সময় ভারত আমাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করেন। সাধারণ জনতা যুদ্ধকালীন সময়ে নিরলসভাবে এই বাহিনীকে সাহায্য করে যায়। যুদ্ধের পর পশ্চিম পাকিস্থানী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বাংলাদেশের সকল সেনা ও জনতার বাহিনীকে "মুক্তিবাহিনী" হিসেবে সম্বোধন করা হয়। মুক্তিবাহিনী বেশিরভাগ সময়ই গেরিলা যুদ্ধের নীতি অবলম্বন করে শত্রু পক্ষকে ব্যাতিব্যস্ত রাখতো। মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধকৌশল অনেকটা বিপ্লবী চে গুয়েভারার দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলো বলে মনে করা হয় এবং একে বিভিন্ন সময় ফরাসি মার্কিন  বাহিনী, ভিয়েত কং এবং মার্শাল টিটোর গেরিলা বাহিনীর তুলনা করা হতো এর রণকৌশল ও কার্যকারীতার কারণে।


এবার আমার কথায় আসি। সেসময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আর রাজাকারদের ভয়ে গ্রাম থেকে অনেক মানুষ গেলেও আমরা কোথাও যাই নাই, যাওয়ার দরকারও হয় নাই। কারণ, আমাদের বাড়িতেই ছিল মুক্তিবাহিনীদের আনাগোনা, ঠিক একটা ক্যাম্পের মতো। আর আমার দুই জেঠামশাই ছিল সেই পাকিস্তান আমলের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই ৮/৯ জন মুক্তিবাহিনী আমাদের বাড়িতে এসে আমার দুই জেঠার সাথে বসেবসে আলাপসালাপ করতো যুদ্ধের কলাকৌশল নিয়ে, আমিও বসেবসে দেখতাম ও শুনতাম তাদের কথাবার্তা। বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের বাড়িতে ছিল বলেই, আমরা আমাদের গ্রামে থেকেই সেই কষ্টকর দিনগুলি পার করি। যুদ্ধের সময় সংসার চালানোর জন্য মায়ের একজোড়া কানের দুল বন্দক রেখে আমার বাবাকে মুড়ির ব্যবসার সুযোগ করে দেয় আমার মা। তাই দিয়েই আমারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ শুরু হওয়া স্বাধীতা যুদ্ধের ৯ মাস পার করেছি। তারপর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যখন দেশ স্বাধীন হয়েছে, তখন দেখেছি মুক্তিযোদ্ধাদের আনন্দ উল্লাস। দেখেছি রাজাকারদের বেঁধে-বেঁধে নিয়ে যেতে। এই দীর্ঘ ৯ মাসের আরও স্মৃতিকথা আছে, যা লিখে শেষ করা যায়না।

এখন ২০১৭ সালের মার্চ মাস, উদযাপিত হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস যা ২৬শে মার্চ হিসেবেও পরিচিত। জানা যায়, ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। আসছে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালির দীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনার কাল। প্রতিবছর মহান স্বাধীনতা দিবস জাতির জীবনে প্রেরণায় উজ্জীবিত হওয়ার নতুন বার্তা নিয়ে আসে।

স্বাধীনতা দিবস তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার ইতিহাস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে ৪৭তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করবে জাতি। এবারের স্বাধীনতা দিবস আসছে আমাদের মাঝে এমনি এক সময় যখন বাংলাদেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধি ও অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে এবং তা সারা বিশ্বের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। আর যাদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ, যাদের ত্যাগের বিনিমিয়ে আমারা পেয়েছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, তাদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। সেই সাথে সব মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই গভীর শ্রদ্ধা। কামনা করি জয় হোক যুগে-যুগে বাংলার মেহনতি মানুষের, বারবার ফিরে আসুক আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস।

আংশিক সূত্র: উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া ও দৈনিক ইত্তেফাক থেকে সংগ্রহ।

ছবি সংগ্রহ: গুগল থেকে।