Published : 13 Aug 2016, 10:59 PM
গত ১২ আগষ্ট ২০১৬ তারিখে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়'এর সোশ্যাল বিজনেস একাডেমিক সেল একটি আন্তর্জাতিক কন্সফারেন্সের আয়োজন করেছিলো যেখানে চিফ গেস্ট ও স্পিকার ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বর্তমান বিশ্বের প্রধান ইকোনমিস্ট। অর্থনীতির যুগান্তকারী ধারনা মাইক্রো ক্রেডিট বাংলায় ক্ষুদ্র ঋন ত্বত্ত আবিস্কার করেছেন ড. ইউনুস এবং এর ব্যবহারিক প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠান গ্রামীন ব্যাংক। বর্তমানে তার এই মাইক্রো ক্রেডিট থিওরী কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ ছোট বড় প্রতিষ্ঠান তৈরী করে ক্ষুদ্র ঋন কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় অসংখ্য প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছে যারা ক্ষুদ্র ঋন কার্যক্রম চালাচ্ছে। ড. ইউনুস বললেন, বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশেই এই মাইক্রো ক্রেডিট থিওরীর ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম চলছে। এর পরে তিনি আবিস্কার করলেন স্যোসাল বিজনেস থিওরি।
মাইক্রো ক্রেডিট আমি যতটা দেখেছি এবং বুঝতে পেরেছে কিন্তু সোশ্যাল বিজনেস বাংলায় সামাজিক ব্যবসা ত্বত্তটা এখনো ততটা পরিস্কারভাবে আমি বুঝতে সক্ষম হই নি। তবে এতটুকু বুঝেছি যে বর্তমান বিশ্ব এখন পলিটিক্যাল অর্ডার ও স্যোসাল অর্ডার এই দুটি সেগমেন্টে বিভক্ত। আমাদের সবার জীবন বৈচিত্র এবং সামগ্রিক সবকিছু এই দুটিকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। পলিটিক্স এর জনক হচ্ছেন এরিস্টটল। আর পরবর্তীতে এর অনেক শাখা উপশাখা সৃষ্টি হয়েছে যেমন ডেমোক্রেসি, কমিউনিজম, ফেডারেলিজম, টেকনোক্রেসি, জেনিওক্রেসি, খিলাফত, ইম্পরিলিজম, ইত্যাদি। সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে পরিবার হচ্ছে সমাজের ক্ষুদ্রতম প্রতিষ্ঠান।
আর সোশ্যাল ফর্ম/স্টেট(অবস্থা) কিভাবে রিকগনাইজড কিংবা আবিস্কার হয়েছিলো সে ইতিহাস অনেক অনেক পুরানো, মানব সভ্যতার আদি ঘটনার একটি। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে মানব সভ্যতার গুরুত্বপুর্ন অংশ হয়ে আছে স্যোসাল মিডিয়া, যার বিভিন্ন টুলস বা উপশাখাগুলি ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগল(+), ইয়াহু(আছে), মাইক্রোসফট(আছে), লিংকডইন এদের মতো সেবাগুলি (List of Social Media Websites এই কি ওয়ার্ডে গুগল সার্চ দিলে উইকিপিডিয়াতে পাওয়া যাবে মোটামুটি বহুল ব্যবহৃত একটি তালিকা)। যাইহোক, ড. ইউনুস একজন অর্থনীতিবিদ থেকে স্যোসাল বিজনেজ থিওরী আবিস্কার ও এর প্রায়োগিক ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেকে একজন স্যোসাল সায়েন্টিস্ট হিসেবে প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্যোসাল বিজনেস সেন্টার, সেল, ইন্সটিটিউট, একাডেমী, ইত্যাদি খুলেছে এবং এই প্রক্রিয়া অব্যাহত। প্রকৃতপক্ষে কেউ যদি মাইক্রো ক্রেডিট কার্যক্রম দেখে কিংবা বুঝে থাকে এবং পৃথিবীজুড়ে এর যেমন বিস্তার হয়েছে কার্যকরীভাবে তবে সে নিশ্চয়ই এটা ভেবে অবাক হবে যে একজন মানুষের ব্রেইন থেকে এমন থিওরীওকি বের হওয়া সম্ভব! এটা কোন যন্ত্রপাতি আবিস্কার নয়, গনিত কিংবা পদার্থ বিজ্ঞানের সুত্র ও গানিতিক সমীকরন নয়, কম্পিউটারের সফটওয়্যার নয়, কিংবা রসায়নের নতুন কোন মৌল বা ক্যামিক্যাল রিএকশন আবিস্কার নয় বরঞ্চ মাইক্রো ক্রেডিট হচ্ছে একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যেটা দান নয়, করুনা নয়, সাহায্য নয়, অধিকারের বিষয়ও নয়, ঠিক ব্যবসাও নয়, দায়িত্বও নয় কিন্তু সমাজে ও দেশের সেইসব মানুষদের কাছে অর্থ বন্টনের একটি প্রক্রিয়া – ড. ইউনুসের মতে ক্ষুদ্র ঋন! গনিতের বিশেষ শাখা ক্যালকুলাস, সেখানে ইন্ট্রিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় দেখা যায় যে ক্যালকুলাসের গানিতিক সমীকরনগুলি কিভাবে একটি বস্তুকে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর অংশে নিয়ে যেতে পারে। মাইক্রো ক্রেডিটকে সবচেয়ে ভালভাবে বুঝতে পারবেন যিনি ক্যালকুলাস জানেন!
যাই হোক, কনফারেন্স শেষে ফটো সেশনের সময় আমি ড. ইউনূস (ব্যাক্তিগত পরিচিতি কিংবা আচারের বিষয় চলে আসলে আমার স্যার সম্বোধন করা উচিত বলে মনে হয়) স্যারকে আমার লেখা (ত্বত্ত, সুত্র, গানিতিক সমীকরনগুলী আমার বাকি লিটারেচার কালেকশন ফ্রি কপিরাইটের আওতায়) "প্রাইম রেডিয়েন্ট দ্যা লাক্সারিয়াস ফিজিক্সঃ হাতাশির হাইপোথিসিস এন্ড প্রিন্সিপাল ম্যাথমেটিক্স অফ এপ্লাইড সাইকোহিস্ট্রি" বইটা দিয়ে বললাম, স্যার এটা সাইকোহিস্ট্রি, গনিতের নতুন একটি শাখা। মাইক্রো ক্রেডিট হচ্ছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অর্থ বন্টনের একটি সক্রিয় ও কার্যকরী একটি স্যোসিওইকোনমিক মেকানিজম। আর একটি মেকানিজম চিরদিন টিকে থাকতে হবে এমনটা জরুরী নয় তবে যে প্রয়োজনে মেকানিজমটা সৃষ্টি হয়েছে ততদিন এই মেকানিজমটা টিকে থাকবে, হতে পারে শতাব্দী কিংবা সহস্রাব্দী কিংবা আরো বেশী এবং যুগের বিবর্তনে ও প্রয়োজনে আরো উন্নত হবে এটা! মাইক্রোক্রেডিট এমনি শক্তিশালী, প্রয়োজনীয় এবং কার্যকরী একটি মেকানিজম! কিন্তু স্যোশাল বিজনেস! স্যোশাল বিজনেসও একটি মেকানিজম?