আজ সেই দিনেই কেউ একজন এসে এমন একটি ভাষণ শোনাতো; যে ভাষণ শুনে পাষণ্ডদের বুক কেঁপে উঠতো! নিষ্ঠুরদের মন নরম হতো। সকল রকম পৈশাচিকতার অবসান ঘটতো!
আসুন, আমরা নিজেরাই হয়ে ওঠি নতুন বাংলাদেশের তেজদীপ্ত ভাষণের একেকজন প্রবক্তা। পদে পদে হোঁচড় খাওয়া মানুষদের মেরুদণ্ড সোজা করতে আমরেই বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাই। ফুলের মতো সুরভিত শিশুদের সুন্দর পৃথিবী গড়ে দিতে আমরাই হয়ে উঠি একেকজন বীরপুরুষ।
৭ মার্চের ভাষণ কেবল একজন নেতার বক্তৃতা নয়, সে তো বাংলাদেশি বাঙালির রক্তে আবেগের স্রোত বইয়ে দেওয়া পংক্তিমালা! আসুন, সেই ভাষণকে রাজনৈতিক সীমরেখায় আটকে রাখার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসি। এখান থেকেই খুঁজে নিই পজেটিভ বাংলাদেশ।
সেই ভাষণ পাঠ্যবইয়ে আছে। থাকাটা দরকারিও। পাশ করতে হলে অন্য অধ্যায়ের মতো এই ভাষণটিও মুখস্ত করার চেষ্টা করে খুদে শিক্ষার্থীরা। পাশ করার জন্য মুখস্ত করলে যা হয় আর কি! তাতে কী লাভ?
বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি মুখস্ত করিয়ে কোনো লাভ নেই। এই ভাষণের প্রতিটি শব্দ, বাক্য মুখস্ত করার চাইতে একবার করে প্রত্যেককে এর অডিও রেকর্ডটা শোনানো উচিত। সেটি পরীক্ষা পাশের চাইতে বেশি কার্যকরি হতে পারে।