Published : 27 Sep 2014, 10:55 PM
তৈলাক্ত বাশের অংক আজকালের ছেলেমেয়েরা করে বলে শুনি নাই। আর চৌবাচ্চা শব্দটা অবশ্যই শুনে নাই। তাই বলে এমন ভাবার কোন কারন নেই যে, আমাদের যোগাযোগ উপদেষ্টা বা মেট্রোরেল প্রকল্পের হর্তাকর্তারা ইহ জীবনে কোন যাদব বাবুর নাম শুনেন নাই বা এই জাতিয় কোন গানিতিক সমস্যার সমাধান করেন নাই।
উত্তরা থেকে শুরু হয়ে মিরপুর-ফার্মগেইট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে এই মেট্রো রেল। ভালো কথা। সময় লাগবে ৪০ মিনিটেরও কম। সেটও বুঝলাম। কিন্তু পাটিতে বসে গনিত করতে শুরু করলে কথা আর সময় মিলে না।
উত্তরা থেকে যে রাউট দিয়ে মতিঝিল যাক না কেন সব মিলিয়ে স্টপেজ ১৬টি। তৈলাক্ত বাশেঁর নিয়ম অনুজায়ি সর্বমোট ভ্রমনকাল বের করতে শুরু আরে শেষের স্টপেজ বাদদিলে ভ্রমনবিরতি (যাত্রি উঠা-নামার জন্য, অন্য কোন কারনে না) হবে ১৬-২ = ১৪টি জায়গায়। ধরে নিলাম একেক স্টপেজে ১.৫ মিনিট করে থামলে যাত্রাপথে মোট বিরতি ২১ মিনিট (১.৫ মিনিটে একটা বগি থেকে কতজন উঠতে পারবে আর নামতে পারবে সেটা ভিন্ন কথা)। তাহলে রেলের চলনকাল হলো ৪০ – ২১ = ১৯ মিনিট। রাউটের বা পথের দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার ।
সেই হিসাবে রেলের বেগ হতে হবে ৪১ / ১৯ = ৪.২৬ কিলোমিটার প্রতিমিনিটে বা ২৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাতে।
যদি স্টপেজ প্রতি ১ মিনিট বিরতি ধরি তাহলে ১৮৬ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে রেল চলতে হবে।
বলি, মেট্রোরেল ই তো কিনতে চেয়েছে, অন্য কিছু নাতো ? ভারতে এক্সপ্রেস মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। আমার জানা মতে চীনে অান্ত প্রাদেশিক ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ২৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
বি.দ্র. স্থিতি অবস্থা থেকে সর্বোচ্চ গতিতে যেতে যে সময় দরকার এবং সর্বোচ্চ গতিতে থেকে স্থিতি অবস্থায় যেতে যে সময় দরকার (মানে নিউটন স্যারের ত্বরণ আর মন্দনের কথা বল্লাম) সেটা মিলাতে পারি নাই
।