Published : 10 Aug 2012, 12:49 PM
আসন্ন রোজার ঈদকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিভিন্ন শ্রেনীর অপরাধীরা, জেলে বসে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাঁদাবাজি আর জেলের বাইরেও বিভিন্ন সন্ত্রাসীরা নিরব চাঁদাবাজি করছে। ব্যাপকভাবে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, টানা পার্টি, মলম পার্টি সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা প্রতিদিন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তাদের শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিচ্ছে।
এছাড়াও সম্প্রতি গুলশানে শয়ন কক্ষে শিল্পপতি ফজলুল হক খুন এবং দক্ষিনখানে সেনা দম্পতি খুনের ঘটনায় সারাদেশে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
রোজার মধ্যেই ঢাকায় প্রশাসন কয়েক দফায় কোটি কোটি জাল টাকা আটক করেছে এবং সারাদেশে জাল টাকা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন বেসরকারী ব্যাংকের একশ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তারাও জাল টাকার ব্যবসার সথে জড়িত বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
বিভিন্ন অলিতে-গলিতে এখন মাদকের ছড়াছড়ি, মাদকের শিকার সবচেয়ে বেশী যুবসমাজ, এই যুবসমাজরাই দিনে দিনে মাদকের কালো থাবায় অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। আর ভারতের একচেটিয়া মাদক রমরমা মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঈদকে সামনে রেখে পূর্বের চেয়ে এখন দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।
ঘরমুখী মানুষ চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে। বাস, লঞ্চ ও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ছাড়তে না ছাড়তেই বাজার থেকে টিকিট উধাও হয়ে কালোবাজারীদের কাছে পৌছে গেছে। ঘরমুখো মানুষ টিকিটের জন্য হাহাকার করছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্প্রতি একটি বক্তব্য, তিনি সাধারণ মানুষদেরকে বাড়ী যাওয়ার আগে "ঘরে তালা মেরে সতর্ক অবস্থায় যাওয়ার জন্য বলেছেন"। এতে করে চোর ডাকাত ঈদের সময়ে সাধারণ মানুষ বাড়ীতে গেলে ব্যাপকভাবে চুরি-ডাকাতি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল চক্ররাও থেমে নেই। বাজারে নিম্নমানের নকল সেমাই থেকে শুরু করে নকল হলুদ মরিচ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য চটক মোড়কে বাজার সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। ক্রেতারা না বুঝে এই সব পন্য কিনে প্রতারিত হচ্ছে। বিভিন্ন নিম্নমানের প্রসাধনী সামগ্রীও ব্যাপকভাবে দেশে তৈরি হচ্ছে এবং তা বাজারজাত হচ্ছে। এছাড়াও ভারত থেকে চোরাই পথে শাড়ী, থ্রি-পিছ সহ বিভিন্ন চোখ ধাঁধানো বস্ত্র আসছে। এতে করে দেশীয় পোশাক শিল্প দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এবিষয়ে যদি সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনই উদ্যোগ গ্রহন না করে তা হলে পরিস্থিতি যে কোন সময়ে ভয়াবহ রুপ নিতে পারে।