দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যেতে চায় আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল।
Published : 17 Jun 2023, 06:40 PM
ভাতা বাড়ানো, বকেয়া ভাতা পরিশোধ এবং প্রাপ্য ভাতা নিয়মিত দেওয়ার দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস-বিসিপিএসের অধীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট চিকিৎসকরা।
এসব দাবিতে গত মঙ্গলবার দিনভর বিএসএমএমইউতে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ চিকিৎসক। এ সময় বিএসএমএমইউর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান নেন চিকিৎসকরা।
সেদিন বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউর উপাচার্য আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর এবং একজন চিকিৎসককে আহত করার অভিযোগ আনেন।
শনিবার রাজধানীর ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ভুল তথ্য দিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
আন্দোলনকারীদের লিখিত বক্তব্য পড়েন ডা. বেনজির বেলাল খান। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দুটো ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা ঠিক নয়। আমরা বিনীতভাবে আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা বিএসএমএমইউতে গিয়ে দেখে আসুন এই অপবাদ সত্যি কি না। আমরা সেদিন ভিডিও করেছি। এবং আপনারা চাইলে সেটা এক্ষুণি দেখতে পারেন।”
আন্দোলনকারীদের আরেকজন ডা. তানভীর বলেন, “চিকিৎসকরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। কিন্তু এই আন্দোলনের পেছনে রাষ্ট্রবিরোধী ভিন্ন মতাদর্শ, ভিন্ন উদ্দেশ্য জড়িত কি না- এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
“আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ এক সাহসী প্রজন্ম। আমরা বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করি, আমাদের কোনো কর্মকাণ্ডে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, সে ব্যাপারে আমরা সবসময়ই সচেতন।”
মঙ্গলবার বিক্ষোভের সময় বিএসএমএমইউর একজন চিকিৎসকের গায়ে ঢিল মেরে আহত করা হয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “মাননীয় ভিসি স্যারের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে বলতে চাই, আপনি কিন্তু আহত স্যারকে আমাদের এবং মিডিয়ার সামনে আনতে পারেননি।”
পরবর্তী পরিকল্পনার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের একটি প্রতিনিধি দল যেতে চান। বিষয়টির সমাধান চান।