নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেন, ভোটের আগে ধরা পড়লে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা যেতে পারে; কিন্তু ভোটের পর এমন তথ্য পেলে ইসির ‘করার কিছু থাকে না’ বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার এম আলমগীর।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপকে নিয়ে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানান তিনি।
গোলাপের যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি থাকার তথ্য এসেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের নেটওয়ার্ক ‘দি অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’র এক প্রতিবেদনে, যার ভিত্তিতে দেশের সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে যে এই বাড়ির তথ্য তিনি নির্বাচনের সময় হলফনামায় গোপন করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমকে গোলাপ বলেছেন, তিনি বিষয়টি জেনে তারপরই কথা বলবেন।
হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে ইসির ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কেউ চ্যালেঞ্জ করলে ইসি তা যাচাই করে দেখে। যাচাইয়ে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এই ক্ষমতা ইসির আছে।
গোলাপের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ কেমন হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যেহেতু নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কেউ এটাকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেনি, এখন উনি নির্বাচিত হয়ে গেছেন।
“এখন উনি যে ভুল তথ্য দিয়েছেন, এটা খালি বললে হবে না, এটা প্রমাণ করাতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। ব্যবস্থা নেওয়ার পর যখন আমাদের কাছে পাঠাবেন, তখন আমরা ব্যবস্থা নেব।”
এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যত তিনি ইঙ্গিত করলেন, এনিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
আলমগীর বলেন, “যদি হয় প্রতারণা করেছে, প্রতারণার মামলা হবে। এই ধারার শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে আদালত। আদালত ব্যবস্থা নিয়ে জানালে ইসি ব্যবস্থা নেবে।”