এসব সংশোধনের জন্য এতদিন ডিসি ও ইউএনওর কার্যালয়ে ছুটতে হত, এখন স্থানীয় পর্যায়ে করা যাবে।
Published : 28 Feb 2023, 05:17 PM
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে নির্দিষ্ট কয়েকটি ভুল সংশোধন এখন সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয় এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা যাবে।
আগে নিবন্ধনে নাম, ঠিকানা ও বাবা-মা’র নামের ভুল সংশোধন সিটি করপোরেশন এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং ইউনিয়নের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে করতে হত।
এ নিয়ে ব্যাপক ভোগান্তির অভিযোগ করে আসছিলেন ভুক্তভোগীরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে তা স্থানীয় পর্যায়ে অর্থাৎ যারা নিবন্ধন দেয়, তাদেরই এই সংশোধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে দেশের সব সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসক ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চিফ এক্সকিউটিভ অফিসারের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. রাশেদুল হাসানের পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী নিবন্ধন তারিখের পরবর্তী ৯০ দিন পর্যন্ত নিবন্ধক সংশোধন করতে পারেন। কিন্তু বর্তমান বিডিআরআইএস সফটওয়্যারে ব্যক্তির নাম, বাবা-মার নাম, ঠিকানা, সন্তানের ক্রম ও অন্যান্য ছোটখাট ভুল সংশোধনের জন্য ইউনিয়নের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের ক্ষেত্রে ডিডিএলজির মাধ্যমে সংশোধন করতে হয়। এটি সময়সাপেক্ষ ও জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
“এ কারণে এখন থেকে ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ছোটখাট ভুল সংশোধন সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক কার্যালয়ই করতে পারবে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংশোধন প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনে অনেক হয়রানি হচ্ছে: মন্ত্রী
নতুন এই নির্দেশনার ফলে মানুষের ভোগান্তি কমবে বলে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অদুদ মাহমুদ বলেন, “ভুল সংশোধন করতে বর্তমানে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। একটা ভুল ঠিক করার জন্য আমার এখান থেকে আড়াইহাজার উপজেলায় যেতে হয়। সেখানে গিয়েও অনেক সময় একদিনে কাজটি শেষ করা যায় না। এক্ষেত্রে টাকার চেয়ে যাতায়াতের সময় এবং কষ্টটাই বেশি। যারা চাকরি করেন বা ব্যবসা করেন তারা এজন্য ভোগান্তিতে পড়েন। এখন থেকে আমাদের ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র থেকেই সংশোধন করে দেওয়া যাবে।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শাখার একজন কর্মী জানান, এখন কোনো সংশোধনের জন্য আবেদন করলে তারা সেটা গ্রহণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠান। সেখান থেকে আসতে সময় লাগে কমপক্ষে এক সপ্তাহ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কয়েক বছর ধরে লোকজনের খুব ভোগান্তি হচ্ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে মানুষের অনেক উপকার হবে।”