Published : 25 Jul 2023, 07:30 PM
ধর্ষণের মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আল মামুন এ আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল বলেন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে
এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
সোহেল ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে যিনি মামলা করেছেন, তিনিও একজন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা।
সোহেল উদ্দিন প্রিন্স আগের স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন ধর্ষণ মামলার বাদীর আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলাটি হয়েছিল। তখন বিচারক মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, বাদীর সঙ্গে সোহেল উদ্দিনের বিয়ের কথা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ওই নারীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলেন সোহেল।
সেখানে আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে হবে িবলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছিলেন বলে বাদী অভিযোগ করেছেন।
ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় বাদী পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে প্রশ্ন করলে আসামি জানান, কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। তখন কথা বলার একপর্যায়ে খুন করার ভয় দেখিয়ে সোহেল ধর্ষণ করেন বলে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সোহেল আরও কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে।
আরজিতে বলা হয়, আসামি হুমকি দয়ে বলেন, এসব নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও জনসম্মুখে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে সোহেলের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী রিফাত জাহান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় ২০২২ সালে ২ অক্টেবর আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
পরে ১০ নভেম্বর আদালত এ মামলায় সোহেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। এ কারণে গত ১৬ মে কুড়িগ্রামের রৌমারী সার্কেলের এএসপিকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।