চলতি বছর আইনটির মেয়াদ শেষ হবে।
Published : 01 Feb 2024, 07:38 PM
কাউকে ‘দমন-নিপীড়ন নয়’, অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতেই দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, “কোনো গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলকে দমন করার জন্য দ্রুত বিচার আইনটি স্হায়ী করা হচ্ছে না। এই আইনের মাধ্যমে জ্বালাও পোড়াও, সহিংসতাসহ অপরাজনীতি বন্ধ করা গেছে। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় বিশেষ অপরাধের বিচার দ্রুত করার জন্য আইনটি স্হায়ী করা হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচিত দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ ধাপে ধাপে না বাড়িয়ে গত সোমবার এটিকে স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
২০০২ সালে যখন দ্রুত বিচার আইন প্রথম সংসদে পাস হয়, সে সময় এ আইনের মেয়াদ ছিল দুই বছর। পরে দফায় দফায় এর মেয়াদ বাড়ানো হয়, সবশেষ মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরই।
আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল, চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এ আইন।
এ আইনে দোষী প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। প্রতি জেলায় গঠিত এক বা একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ আইনের মামলার বিচার চলে।
দ্রুত বিচার আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যায়।
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসার দিন মঙ্গলবার রাজধানীর সাতটি স্থানে বিএনপি কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি দিলেও পুলিশি বাধায় তা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,“রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে সরকার বাধা দেবে না। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, এ ধরনের কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না।
“সংসদের প্রথম দিন একটি নতুন সরকারের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়াই রাস্তা বন্ধ করে কালো পতাকা করেছে বিএনপি। অনুমতি না থাকার কারণে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছে।"
সেদিন উত্তরায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানও বাধার মুখে পড়েন।
এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, “বিএনপি নেতা মঈন খানকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দেয়নি পুলিশ। এ ধরনের পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই ধাক্কাধাক্কি হয়।”
অনুষ্ঠানে ডিজিটাল আর্মস্ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ডিএএমএস) নামে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন কার্যক্রম সেবা চালু করা হয়।