রাজউকের কর্মচারীদের কাছ থেকে উদ্ধার ১৫০ নথি

নিয়ম অনুযায়ী প্লটের এ নথিগুলো নগর কর্তৃপক্ষের ‘রেকর্ড রুমে’ থাকার কথা ছিল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2023, 05:19 PM
Updated : 24 March 2023, 05:19 PM

পূর্বাচল প্রকল্পের বিভিন্ন প্লট সংক্রান্ত প্রায় দেড়শটি গুরুত্বপূর্ণ নথি রাজউকের কর্মচারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত; সতর্ক করা হয়েছে এসব কর্মচারীকে।

নিয়ম অনুযায়ী প্লটের এ নথিগুলো সংস্থাটির ‘রেকর্ড রুমে’ থাকার কথা ছিল। তবে বৃহস্পতিবারের অভিযানে সেগুলো পাওয়া যায় অফিস সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, তত্ত্বাবধায়কদের ড্রয়ার ও লকারে।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (এস্টেট) মোহাম্মদ নূরুল ইসলামের নেতৃত্ব পরিচালিত এক অভিযানে সেগুলো কর্মচারীদের কক্ষ থেকে খুঁজে খুঁজে বের করা হয়। রাজউকের অ্যানেক্স ভবনে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়, যেখানে পূর্বাচল শহর প্রকল্পের বিভিন্ন কাজ হয়।

শুক্রবার নূরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নথি উদ্ধার করা হলেও জড়িতদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যাদের কাছ থেকে নথি পাওয়া গেছে তাদের মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পরে এমন অনিয়ম ধরা পড়লে শাস্তি দেওয়া হবে।

অভিযানের সময় রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বাচল প্রকল্পের অনেক নথি কর্মচারীরা নিজেদের কাছে বছরের পর বছর আটকে রাখত জানিয়ে রাজউকের এ সদস্য বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তারা যতক্ষণ নথির কাজ থাকবে ততক্ষণ নথি নিজেদের মধ্যে রাখতে হবে। যেমন একটি প্লটের হস্তান্তর, মিউটেশনের কাজ হবে। যতদিন এই প্রক্রিয়াটি চলবে ততদিন নথি তাদের কাছে রাখতে পারবে। কাজ শেষ হওয়ার পরদিনই তা রেকর্ড রুমে জমা দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু তারা এসব করেননি।”

তিনি জানান, যাদের কাছ থেকে নথিগুলো উদ্ধার করা হয়েছে তাদের আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে বাকি নথিগুলো রেকর্ড রুমে জমা দিতে বলা হয়েছে। পরে আবার যেকোনো সময় পরিদর্শন করা হবে। তখন পাওয়া গেলে ‘তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন’ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

রাজউকের কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন প্লটের নথি নিজের কাছে রেখে নানা ধরনের জালিয়াতি ও প্লট মালিকদের হয়রানি করতেন কর্মচারীদের অনেকে। প্লটের নথি খুঁজে না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে প্লট মালিকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পুরনো। এছাড়া মূল নথি আটকে রেখে জাল নথি তৈরি, একজনের প্লট অন্যের নামে করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ অভিযান চালিয়ে সংস্থার অ্যানেক্স ভবনের একটি কক্ষ থেকে ৭০টি প্লটের নথি উদ্ধার করেছিলেন।

ওই ঘটনায় সংস্থার ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছিল।