প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহনের আড়ালে চলত মাদক পাচার

প্রাইভেটকারের পেছনের অংশে বিশেষ কায়দায় লুকানো ছিল ৫৮১ বোতল ফেন্সিডিল। সেগুলো চুক্তি মত পৌঁছে দিতে গিয়েই ধরা পড়েন তিনি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2023, 11:22 AM
Updated : 3 Feb 2023, 11:22 AM

রাজধানীর কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে ফেন্সিডিলসহ একজনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব বলছে, প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহনের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করে আসছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

গ্রেপ্তার ৩০ বছর বয়সী সোহেল রানার বাড়ি নোয়াখালীতে।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরিফ মহিউদ্দিন জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে ফেন্সিডিলের একটি চালান পৌঁছে দিতে সোহেলের সঙ্গে একজনের চুক্তি হয়। এজন্য রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে কুমিল্লায় গিয়ে ফেন্সিডিল নিয়ে ফিরছিলেন তিনি।

“প্রাইভেটকারের পেছনের অংশে বিশেষ কায়দায় লুকানো ছিল ৫৮১ বোতল ফেন্সিডিল। সেগুলো চুক্তি মত পৌঁছে দিতে গিয়েই ধরা পড়েন তিনি।”

আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, “প্রাইভেটকারের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনের আড়ালে মাদকের কারবার করে আসছিলেন সোহেল। বিমানবন্দর এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেতেন। আর সেসব এলাকা থেকে ফিরতেন মাদক নিয়ে।”

র‌্যাব জানায়, সোহেল নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি হনুফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে এসএসসি পাস করে ঢাকায় এসে এইচএসসি ও স্নাতক  করেন। কিছুদিন বেকার থাকার পর ২০১১ সালে দুবাইয়ে চলে যান। চার বছর পর দেশে ফিরে নোয়াখালীতে ড্রাইভিং এর প্রশিক্ষণ নেন।

র‌্যাব অধিনায়ক আরিফ বলেন, প্রথমে মাদক কারবারিদের সঙ্গে কাজ করলেও পরে বেশি লাভের আশায় সোহেল নিজেই মাদক ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৭ সাল থেকে যাত্রী পরিবহনের আড়ালে তিনি নিয়মিত এ কাজ করে আসছিলেন।

“পাঁচ বছরে তিনি ৬০টির বেশি চালান দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছেন। প্রতিটি চালানে পাঁচশ থেকে ২ হাজার বোতল ফেন্সিডিল বহন করতেন।”

র‌্যাব বলছে, ফেন্সিডিল ছাড়াও গাঁজা ও ইয়াবার কারবারে যুক্ত সোহেল। ২০২১ সালে কুমিল্লা থেকে গাঁজা নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে র‌্যাব-১৪ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তিন মাস জেল খেটে জামিনে বের হয়ে ফের মাদকের কারবারে নামেন।