যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে গেছে।
রোববার এ দুই মামলায় ঢাকার দুই আদালতে হাজিরা দেন সম্রাট; তার আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা শুনানি পেছানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।
এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ছিল ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে। আর ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ছিল।
তিন বছর আগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য আইনে পৃথক দুইটি মামলা করেছিলেন র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক। তদন্ত শেষে অস্ত্র মামলায় ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে আত্মগোপনে চলে যান ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর রমনা থানায় করা হয়েছিল মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনের দুই মামলা।