ঢাকায় মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তায় ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট বা এমআরটি পুলিশ ইউনিটে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে যুক্ত করার মাধ্যমে জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. মাহমুদ খানকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে তাকে সোমবার এই বিশেষ ইউনিটে যুক্ত করা হয়।
বিসিএস ৩৪ ব্যাচের এই কর্মকর্তা কয়েকদিন আগে পদোন্নতি পান; এমআরটিতে প্রথম তাকে যুক্ত করা হলেও অফিস না থাকায় কোথায় বসবেন, সেই বিষয়টি ঝুলে আছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অফিস নির্ধারণ না হওয়ায় তারা যোগদান কোথায় করবেন বা কোথায় বসে অফিস করবেন, সেটি তাদের এখনও জানানো হয়নি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি ফারুক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অফিস নির্ধারণ প্রক্রিয়া চলছে। ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সঙ্গে কথা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনাও চলছে।”
শিগগিরই সব বন্দোবস্ত হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ঢাকার মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তায় শুরু থেকেই পুলিশের এই ইউনিট গঠনের কথা জানানো হয়। একজন ডিআইজি, একজন পুলিশ সুপার, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার ২৩১ জন সদস্য থাকবেন এই ইউনিটে।
পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি মিডিয়া মনজুর রহমান জানান, প্রথম একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে এমআরটিতে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ডিআইজি এবং পুলিশ সুপারসহ অন্যদের নিয়োগ হবে।
২০২১ সালের মাঝামাঝি এমআরটি পুলিশ ইউনিট গঠনে ৮০৯ জন সদস্যের জনবলের একটি কাঠামো গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল পুলিশ সদর দপ্তর। পরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর ৩৫৭ জনের সুপারিশ সচিব কমিটিতে জমা পড়লেও শেষ পর্যন্ত অনুমোদন মিলে ২৩১জনের।
এমআরটিতে জনবল নিয়োগ পক্রিয়া শুরু হলেও কবে থেকে পূর্ণরূপে এই ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হবে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।