ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গুলশান থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তাদের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম আরফাতুল রাকিব।
শুক্রবার আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মফিজ উদ্দিন।
সেইসঙ্গে তাদের জামিন আবেদনও করা হয়েছিল। শুনানি শেষে বিচারক উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মো. সাইদ উল্লাহ, মো. মোশাররফ হোসেন, শহিদুল্লাহ মজুমদার ও হাবিবুর রহমান। তারা সবাই ব্যাংকার বলে ডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ।
পরদিন সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাংকটি অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে। সম্প্রতি এই ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তা ব্যাংক সম্পর্কে মনগড়া তথ্য প্রদান করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ান।
“তারা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ভাবে গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা। বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করে তোলা।”
ব্যাংক খাত নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এর আগে গত ৮ জানুয়ারি মোহাম্মদ নুর উন নবী, মো. আফসার উদ্দিন রোমান, মো. আবু সাইদ সাজু, মো. স্বাধীন মিয়া ও মো. আব্দুস সালামদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
“তাদের দেওয়া তথ্যমতে এ ঘটনায় জড়িত আরও চারজনকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়,” বলেন হারুন।
আরও খবর