মৃত ব্যক্তি ‘সাদপন্থি’, আর যার বিরুদ্ধে তাকে মারার অভিযোগ, তিনি ‘জুবায়েরপন্থি’।
Published : 26 Jul 2023, 10:45 PM
তাবলিগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের মধ্যে মারধরে ঢাকার একটি মসজিদে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার বিকালে নীলক্ষেতের জিলানী মার্কেটের পাঞ্জেগানা মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শামসুল হক (৫৫) জিলানী মার্কেটের ব্যবসায়ী। হাজারীবাগের কুলাল মহল লেনের মুনসুর সর্দারের ছেলে শামসুল তাবলিগের ‘সাদপন্থি’ ছিলেন বলে দাবি করছেন তার বন্ধু।
আর যার বিরুদ্ধে তাকে ‘হত্যার’ অভিযোগ উঠেছে, সেই আনোয়ার হোসেন তাবলিগের ‘জুবায়েরপন্থি’ বলে পরিচিত।
তাবলিগ জামাতের বিভক্তি দেশের নানা প্রান্তে বিবাদের কারণ হয়েছে এর আগেও। এক পক্ষ তাবলিগের দিল্লি মারকাজের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির অনুসারী। আরেক পক্ষ দেওবন্দপন্থি মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী। এই দুই পক্ষের অনুসারীরা পৃথকভাবে টঙ্গীর ময়দানে ইজতেমাতে অংশ নিয়ে আসছেন।
নিহত শামসুলের বন্ধু গোলাম সাব্বিরের ভাষ্য, বুধবার বিকালে নীলক্ষেত বাবুপুরা জিলানী মার্কেটের পাঞ্জেগানা মসজিদে আসরের নামাজ পড়ে ‘সাদপন্থি’ কয়েকজন ‘বয়ান করে দাওয়াত দিচ্ছিলেন’। এ সময়ে ‘জোবায়েরপন্থি’ আনোয়ার হোসেন মসজিদে ঢুকে তাদের বয়ানে বাধা দেন। বয়ান বন্ধ করতে বলে রাগারাগি করে মসজিদের মোয়াজ্জেম ও তাকে (সাব্বিরকে) মারতে আসেন।
এ সময় সেখানে থাকা ব্যবসায়ী শামছুল হক এগিয়ে এসে আনোয়ারকে নিবৃত্ত করতে যান। ক্ষিপ্ত আনোয়ার তখন শামসুল হকের বুকে ঘুষি মারেন। মসজিদের মেঝেতেই অচেতন হয়ে পড়ের শামসুল। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোলাম সাব্বিরের দাবি, নিহত শামসুল হক তাদের সাথী-বন্ধু; তিনিও (শামসুল) তাবলিগের সাদ কান্ধলভির অনুসারী।
নিহতের ভাই মোশাররফ বলেন, তার ভাই জিলানী মার্কেটের ব্যবসায়ী। তিনি নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলেন। সেখানে আনোয়ার হোসেন তার ভাইকে মারধর করে মেরে ফেলেছে।
“আনোয়ারকে ঘটনাস্থলে আটক করা হয়েছিল। পরে সে পালিয়ে যায়। ওই এলাকার ওর্য়াড পর্যায়ের এক আওয়ামী লীগের নেতার দোহাই দিয়ে আনোয়ার নানা অপকর্ম করে বেড়ায়।”
এ বিষয়ে নিউ মার্কেট থানার ওসি শফিকুল গণি সাবু বলছেন, “মসজিদে একজনের মৃত্যুর খবর আমরা শুনেছি। তার লাশ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। সেখানে কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”