‘স্বর্ণালংকার চুরির’ টাকায় দলবেঁধে কক্সবাজার ভ্রমণ, গ্রেপ্তার ১১

ঢাকার চাঁদনী চকের একটি জুয়েলারি দোকান থেকে চারদফায় চুরি করে তারা। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2022, 11:42 AM
Updated : 29 Sept 2022, 11:42 AM

ঢাকার নিউ মার্কেট থেকে স্বর্ণালংকার চুরির পর সেগুলো বিক্রির টাকা দিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে যান তারা। তিন রাত সেখানে থাকার পর টাকা ফুরিয়ে গেলে ফিরে আসেন।

এরপর রাজধানীতে এসে আবার স্বর্ণালংকার বিক্রি করতে গিয়ে গোয়েন্দাদের হাতে তারা গ্রেপ্তার হন।

রাজধানীর নিউ মার্কেটকেন্দ্রীক এমন এক চোর চক্রের ১‌১ জনকে গ্রেপ্তারের খবর দিয়ে রমনা বিভাগের গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, নিউ মার্কেট এলাকার চাঁদনী চক মার্কেটের একটি জুয়েলারি দোকানে চুরির অভিযোগ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা হলেন- ফরহাদ হোসেন, মো. মারুফ, মো. জাহিদ, মো. সাকিব, আব্দুল্লাহ স্বপন, মো. আরিফ, তারা মিয়া, মো. শুকুর ফজলু মাতাব্বর, তপন রায় ও ওবায়েদ হাসান।

এদের মধ্যে ফরহাদ ওই মার্কেটের একটি দোকানের কর্মচারী এবং আরিফ ও ওবায়েদ চোরাই স্বর্ণের ক্রেতা বলে জানান উপকমিশনার হুমায়ুন।

তিনি জানান, গ্রেপ্তার পাঁচজনের বয়স ১৮ থেকে ১৯ বছর। অপর পাঁচজনের বয়স ২২ থেকে ৩০ বছর হলেও ওবায়েদের বয়স ৫০ বছর।

রাজধানীর লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থেকে গত দুই দিনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ১০ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাঁদনী চক মার্কেটের ৩ নম্বর ভবনের সততা জুয়েলার্সে কয়েকদফায় অন্তত ২০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়।

তিনি বলেন, স্বর্ণালংকার চুরির পর বিক্রির টাকা দিয়ে তারা কক্সবাজার ভ্রমণে যায়।

“৯০ হাজার টাকা খরচ করে তিন রাত কক্সবাজার অবস্থান করে। টাকা শেষ হওয়ায় ফের ঢাকায় স্বর্ণালংকার বিক্রি করতে এলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”

তিনি বলেন, সততা জুয়েলার্সে মাঝে মধ্যেই ছোটখাটো চুরি হত। মালিকপক্ষ তা মার্কেট কমিটিকে জানালেও চোর ধরা যাচ্ছিল না। অনেক সময় মনে করা হত হিসাবে ভুল হচ্ছে।

“তবে চক্রটিকে ধরার পর স্বীকার করে তারা সেখানে চার দফায় চুরি করেছে।”

তিনি বলেন, এই চোর চক্রের 'হোতা' ফরহাদ হোসেন। সে সততা জুয়েলার্সের পাশের একটি দোকানের কর্মচারী। পাশাপাশি মাসিক দুই হাজার টাকা বেতনে সততা জুয়েলার্সের সার্টার খোলা ও লাগানোর কাজ করত।

“ওই সুযোগে সে দোকানটির ডুপ্লিকেট (নকল) চাবি বানিয়ে নিয়েছিল। সেই চাবি দিয়েই মূলত তালা খুলে চুরি করে আসছিল।"

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা চোরাই স্বর্ণের একটা অংশ বিক্রি করে কক্সবাজারে ঘুরতে গেলেও আরেকটা অংশ জমা রেখেছিল।

এর থেকে সাত ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ছয় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন।

এই ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর নিউমার্কেট থানায় মামলা হয়েছে।