ঢাকায় রাষ্ট্রদূতসহ ছয় দেশের মিশনপ্রধানদের চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের আগের সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে; তবে শর্ত সাপেক্ষে কেউ নিরাপত্তার জন্য আনসার বরাদ্দ চাইলে পাবেন, যাদের নেতৃত্বে পুলিশ থাকার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মিশনপ্রধানদের বাড়তি নিরাপত্তা আগের মতই বহাল রাখছে সরকার এমন আলোচনা শুরুর মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানালেন।
শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে। তারা যদি মনে করে ‘অন পেমেন্টে’ আনসার সুবিধা নেবেন সেটা তারা নিতে পারেন।
মিশনগুলো থেকে ১০ জন আনসার সদস্য চাইলে সেটিও দেওয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল বলেন, “এই আনসার সদস্যদের নেতৃত্বে থাকবেন পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তা।”
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ কয়েকটি দেশের মিশনপ্রধানরা চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা (পুলিশ এসকর্ট) পেয়ে আসছিলেন। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর থেকে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘ভালো থাকার কারণে’ এখন তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সরকারের এ সিদ্ধান্তের পর বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা হয়। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিয়ে একাধিকবার সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রাষ্ট্রদূতসহ দেশের মিশনপ্রধানদের চলাচলের সময় সামনে পুলিশের একটি গাড়ি থাকত এবং পেছনে পুলিশের একটি গাড়ি থাকত। হলি আর্টিজেনে হামলার পর পেছনে আরেকটি পুলিশ এসকর্ট বাড়তি হিসেবে দেওয়া হত। ছয়টি দেশের মিশনপ্রধানরা এ সুবিধা পেয়ে আসছিলেন।
এ নিয়ে আলোচনা শুরুর পর শর্ত অনুযায়ী আনসার সদস্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দূতাবাস বা মিশনগুলো আনসার সদস্য নিতে চাইলে তাদের অর্থের বিনিময়ে তা নিতে হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।