স্পিকার থাকাকালে বিদেশে চিকিৎসার জন্য ওই অর্থ তিনি সরকারের কাছ থেকে নিয়েছিলেন।
Published : 14 Mar 2023, 06:43 PM
‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে’ চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছেন সাবেক স্পিকার, বিএনপি নেতা জমির উদ্দিন সরকার।
তার পক্ষে তার অন্যতম আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া মঙ্গলবার সোনালী ব্যাংকের হাই কোর্ট শাখায় এ টাকা জমা দেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত বছর ২৫ অগাস্ট জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাঁচ মামলা বাতিল করে রায় দেয়।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, চিকিৎসা ভাতা হিসেবে উত্তোলন করা ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রায়ের কপি বিচারিক আদালত গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে জমা দিতে হবে সাবেক স্পিকারকে।
সেই রায়ের অনুলিপি জজ আদালতে পৌঁছায় গত ৬ মার্চ । এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা জমা দিয়ে সেই কাগজ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী মঙ্গলবারই টাকা জমা দিলেন জমির উদ্দিন সরকার।
২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের সময় জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করা জমির উদ্দিন সরকার কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। স্পিকার থাকাকালে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদক পরে পাঁচটি মামলা দায়ের করে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এসএম খবীরউদ্দিন বাদী হয়ে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন। পরে ওই পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আদালত অভিযোগ আমলে নিলে মামলাগুলো বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন জমির উদ্দিন সরকার। হাই কোর্ট তখন মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে।
শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাই কোর্ট বিভক্ত আদেশ দেয়। পরে তৃতীয় বেঞ্চ রুল খারিজ করে দেয়। উদ্দিন সরকার তখন আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ পাঁচটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেয়। তবে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয় রায়ে।