৫৫ পৃষ্ঠার এ পূর্ণাঙ্গ এ রায় লেখা হয়েছে বাংলায়।
Published : 06 Feb 2024, 06:36 PM
ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট। ‘সামান্য অর্থের লোভে’ তাকে হত্যা করা হয় বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আদালত।
পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় বহাল রেখে বাংলায় লেখা ৫৫ পৃষ্ঠার ওই পূর্ণাঙ্গ রায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
২০২২ সালের ১২ অক্টোবর বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বশিরউল্লাহর বেঞ্চ এ রায় দেয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা, মো. বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, মো. রাজু মুন্সি ও মো. রাসেল। এদের মধ্যে মো. রাজু মুন্সি ও মো. রাসেল পলাতক রয়েছেন।
২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর সকালে পশ্চিম রামপুরার ওয়াবদা রোডের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রবীণ সাংবাদিক আফতাব আহমেদকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় আফতাব আহমেদের ছেলে মনোয়ার আহমদ সাগর ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখ রামপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ ওই মামলার রায় দেয়। তাতে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে বলা হয়, “এই হত্যাকাণ্ডটি আসামি মো. হুমায়ূন কবির মোল্লা, মো. রাজু মুন্সি, মো. হাবিব হাওলাদার, মো. বিল্লাল হোসেন কিসলু ও মো. রাসেল করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে; ফলে কোনোক্রমেই তারা কোনো প্রকার অনুকম্পা ও কৃপা পেতে পারেন না। এই অপরাধীরা সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়া অত্যাবশ্যক।”
রায়ে বলা হয়, সাক্ষ্য, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা, আসামিদের ফৌজদারি কার্যিবধির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি, জব্দ তালিকা, সুরতহাল রিপোর্ট, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বিচার বিশ্লেষণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারার অভিযোগের অপরাধ সুনির্দিষ্ট এবং সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল তাদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের গলায় ফাঁসির রশি ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সিদ্ধান্ত দেয় ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া আসামি মো. সবুজ খান ডাকাতির সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করায় তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়, ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ওই রায় ও আদেশ ‘সম্পূর্ণ অভ্রান্ত, নির্ভুল এবং অহস্তক্ষেপযোগ্য’।
আরও পড়ুন